মাঝ রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ময়লার বস্তায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ঘটনা। করোনাভাইরাসের দমবন্ধ পরিস্থিতিতে, ঘরবন্দি জীবনের গুমোট আবহ থেকে একটু হাওয়া খেয়ে আসার চেষ্টায় গাড়ি নিয়ে বেড়িয়েছিল একটি পরিবার। উইকেন্ডে লং-ড্রাইভে গিয়েছিল তারা।
চলতি পথে হঠাৎ তাদের কাছে হাজির হলো প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা। একদম নগদ ক্যাশ! পড়ে ছিল রাস্তার মাঝখানে!
ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার।
শ্যান্টজ পরিবারের গাড়িটির সামনে থাকা একটি গাড়ি আচমকাই পথে কিছু একটাকে কাটিয়ে একদিকে সরে গেলে পরিবারটির চোখে পড়ল বড় এক ময়লার বস্তা। আগের গাড়ির মতো বাঁক নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ছিল না তাদের।
এভাবে রাস্তার মাঝখানে ময়লার বস্তাটি পড়ে থাকবে, এটা ঠিক মনে হয়নি শ্যান্টজ পরিবারের। তাই তারা বস্তার কাছে গিয়ে গাড়ি থামাল। তারপর সেটি তুলে নিল নিজেদের ট্রাকের পেছনে।
আরেকটু সামনে যেতেই আরও একটি বস্তা চোখে পড়ল তাদের। তারা সেটিও তুলে নিল। তারপর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বস্তা দুটি নামাল আবর্জনার নির্ধারিত জায়গায় ফেলবে বলে।
ফেলতে গিয়ে মনে হলো, এগুলো বোধহয় চিঠির বস্তা। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বস্তা খুলতেই তাদের চোখ ছাড়াবড়া! ভেতরে নগদ টাকা!
সিএনএনকে এ ঘটনা শুনিয়েছেন ভার্জিনিয়ার ক্যারোলিন কাউন্টি শেরিফ'স ডিপার্টমেন্টের মেজর স্কট মোজার।
এরপর একজন কাউন্টি শেরিফকে সঙ্গে নিয়ে শ্যান্টজ পরিবার হাজির হয় গির্জায়। সেই শেরিফ তাদেরকে অফিসে ফোন করার পরামর্শ দেন।
মোজার বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, সত্যি সত্যি নগদ টাকা। দুটি ব্যাগে থাকা অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ মিলিন ডলার।'
বড় দুটি বস্তার ভেতরে ছিল ছোট ছোট দুটি বস্তা। টাকাগুলোর গন্তব্য কোথায়- প্রতিটি বস্তায় লেখা ছিল সে সংক্রান্ত কিছু তথ্য।
সিএনএনকে এমিলি শ্যান্টজ জানান, "ব্যাগের মধ্যে প্লাস্টিকের ছোট ছোট ব্যাগ ছিল। গন্তব্যের ঠিকানা হিসেবে সেখানে লেখা ছিল 'ক্যাশ ভল্ট'।"
এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে শেরিফ ডিপার্টমেন্ট। পরে এসে যোগ দেয় ইউনাইটেড স্টেটস পোস্টাল সার্ভিস বা যুক্তরাষ্ট্রের ডাকবিভাগ। তারা এখন বিষয়টি তদন্ত করছে।
মোজার বলেন, 'এই টাকার মালিক কে বা কারা, কোথায় এগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল- আমরা এখনো কোনো কূল-কিনারা করে ওঠতে পারিনি।'
টাকার প্রকৃত মালিকের সন্ধানে এখন কাজ করছে ডাকবিভাগ।
'এতগুলো টাকা উদ্ধারের সব কৃতিত্ব আসলে শ্যান্টজ পরিবারের। আমি নিশ্চিত, নগদ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা পেয়ে লোভ সামলাতে পারা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে তারা ঠিক কাজটিই করেছেন।' বলছিলেন মোজার।