শিক্ষককে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণকারীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে
সম্প্রতি বিহার সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসি) পরীক্ষায় পাশ করে শিক্ষক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিয়েছিলেন গৌতম কুমার। গত বুধবার স্কুলে ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি, হঠাৎই কয়েকজন ব্যক্তি ভেতরে ঢুকে জোর করে ঢুকে গৌতমকে তুলে নিয়ে যান। তারপর অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গৌতমের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দেন এক অপহরণকারী।
ভারতের পুলিশ জানিয়েছে, এ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে গত দেশটির বিহার রাজ্যের বৈশালী জেলায়। ভুক্তভোগী গৌতম কুমার সেখানকার পাতেপুরের রেপুরা-র একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
অপহরণের ঘটনার পর গৌতমের পরিবার বুধবার রাতেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর নিখোঁজ শিক্ষকের খোঁজে অভিযানে নামে পুলিশ।
গৌতমের পরিবারের অভিযোগের আঙুল রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির দিকে। গৌতমকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাজেশের মেয়ে চাঁদনীর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৌতমকে মারধরও করা হয়।
এ ঘটনায় এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিহার পুলিশ। এছাড়া অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত চলছে।
বিহারে এভাবে অবিবাহিত ছেলেদের তুলে নিয়ে গিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এ ধরনের বিয়েকে 'পাকদওয়া বিবাহ' বলা হয়।
গত বছরই এক পশু চিকিৎসককে অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসা করতে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপহরণ করা হয়। তারপর তাকে এক মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। আরও কয়েক বছর আগে বিহারের এক প্রকৌশলীর সঙ্গেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়েও সংবাদমাধ্যমে অনেক আলোচনা সৃষ্টি হয়।
এরকম বিয়ে ঠেকানোর আইনি চেষ্টাও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি পাটনার হাইকোর্ট এরকম জোর করে বিয়ে দেওয়ার পর দশ বছর সংসার করা এক দম্পতির বিয়েকে বাতিল বলে রায় দেন।