এবার চাঁদে অপরাধ করলে পেতে হবে শাস্তি, আইন তৈরি করছে কানাডা
এবার চাঁদের বুকে কোনো অপরাধ করলে তার জন্য পেতে হবে শাস্তি। এমন একটি আইন প্রণয়নে কাজ করছে কানাডা।
দেশটির হাউজ অব কমন্স-এ গত ২৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাব আনা হয়েছে। এ আইনটি তৈরি করার জন্য দেশটির ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হতে পারে।
এ আইনের আওতায় কানাডিয়ান নভোচারীরা চাঁদ-সংক্রান্ত কোনো অপরাধ করলে তার জন্য শাস্তি পাবেন। তিনটি ক্ষেত্রে এ শাস্তি হতে পারে: চাঁদে যাওয়ার পথে কোনো অপরাধ করলে, চাঁদে অবস্থান করে কোনো অপরাধ করলে, ও চাঁদ থেকে ফেরত আসার পথে অপরাধ করলে।
বিল সি-১৯ নামের ওই বিলে লেখা রয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি মহাশূন্যে ভ্রমণের সময় এমন কোনো কাজ করেন যা কানাডার মাটিতে করলে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো, তাহলে তা কানাডার ভেতরে করা অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
চাঁদের জন্য মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা একটি মহাকাশ স্টেশনের কথা প্রস্তাব করেছে যা লুনার গেইটওয়ে নামে পরিচিত। এই স্টেশন থেকে চাঁদে বা চাঁদ থেকে এ স্টেশনে ভ্রমণ করার সময় কোনো নভোচারী অপরাধ করলে তাও এ আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখা যাবে।
অর্থাৎ এখন থেকে আর চাঁদের নভোচারীরা মহাকাশে দুষ্টুমি করতে দুবার ভাববেন। এমনকি কোনো অ্যাস্ট্রোনট কোনো এলিয়েন থেকে কিছু না বলে-কয়ে নিয়ে এলেও তাকে অভিনন্দনের বদল শ্রীঘর দেখতে হতে পারে।
অবশ্য এর আগেই কানাডার ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনো অপরাধ সংঘটনের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। এবার নির্দিষ্ট করে চাঁদের জন্য এ ধরনের দণ্ডবিধি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে নাসার আর্টেমিস দুই প্রকল্পে একজন কানাডিয়ান নভোচারী থাকার দরুন এ আইন তৈরি করছে কানাডা। তবে এ ধারণা প্রমাণে কোনো অফিসিয়াল তথ্য এখনো নেই। আর্টেমিস দুই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মে মাসে চাঁদের কক্ষপথে নভোচারী পাঠানোর কথা রয়েছে নাসার।
সূত্র: সিনেট