এবার ডায়াপারের চালানে এলো শিশুখাদ্য
চট্টগ্রাম বন্দরে এবার বেবি ডায়াপার আমদানির ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে লেকটোজেন ব্রান্ডের শিশুখাদ্য নিয়ে এসেছে ঢাকা মিরপুরের আমদানিকারক সিয়াম ট্রেডিং।
বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানির তথ্য নিশ্চিত হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) ইউনিট। এই ঘটনায় ২২ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে আমদানিকারক। বৃহস্পতিবার রাতে কাস্টম হাউসের এআইআর ইউনিট গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায়।
এর আগে মালয়েশিয়া থেকে জলপাই ও বাদাম আমদানির ঘোষণা দিয়ে একই ব্রান্ডের শিশুখাদ্য নিয়ে আসে ঢাকার আরেক আমদানিকারক সিয়াম এন্টারপ্রাইজ। ২৮ এপ্রিল আটক হওয়া ওই চালানে ৬০ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট) খান এন্টারপ্রাইজ।
দুই আমাদনিকারকের নামে কিছুটা মিল থাকায় একই চক্র কি না তা খতিয়ে দেখছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর ইউনিটের সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসুয়া বলেন, মালয়েশিয়া থেকে বেবি ডায়াপার আমদানির ঘোষণা দিয়ে লেকটোজেন ব্র্যান্ডের শিশুখাদ্য নিয়ে আসার গোপন সংবাদ পাওয়ায় সিয়াম ট্রেডিংয়ের আমদানিকৃত পণ্য চালান পরীক্ষা করা হয়।
২০ ফুটের একটি কনটেইনার খোলার পর ঘোষিত পণ্য ডায়াপার পাওয়া যায় ২ হাজার ৮৮০ কেজি। মিথ্যা ঘোষণার শিশুখাদ্য পাওয়া যায় ৬ হাজার ৮২৫ কেজি। বেবি ডায়াপারের চেয়ে শিশুখাদ্যের শুল্ক বেশি। এই চালানে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা হয়েছে প্রায় ২২ লাখ টাকা। চালানটি খালাস নিতে আমদানিকারকের পক্ষ থেকে কোনো সিঅ্যান্ডএফ বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি।
সহকারী কমিশনার আরও বলেন, গত ২৮ এপ্রিল আটককৃত চালানের আমদানিকারক সিয়াম এন্টারপ্রাইজ। ৩০ এপ্রিল আটককৃত চালানের আমদানিকারক সিয়াম ট্রেডিং। দুটি চালানই এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। যদিও ঢাকার দুই স্থানে এই দুই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। তবুও চক্রটি একই কি না, আমরা খতিয়ে দেখব। এই বিষয়ে কাস্টম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।