চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৫৮৫৯ কোটি টাকা
দেশের সর্ববৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৯ শতাংশ কম হয়েছে। টাকার অংকে এর পরিমাণ ৫ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা।
চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ১০৫ কোটি টাকা, আয় হয়েছে ১৪ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর আয় বেড়েছে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ২৩৩ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ১৪,০১২ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের জন্য ৬৫,৪৩৩.৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে।
মূলত কোভিডের কারণে সার্বিক আমদানি কমে যাওয়াতেই রাজস্ব আয়ের এই ঘাটতি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা। গাড়ি আমদানি থেকেই সবেচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় আসে চট্টগ্রাম কাস্টমসের। এবার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। কমবেশি কমেছে অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্যের আমদানিও।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমদানি করা গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে মোংলা বন্দরে মাসুল কম। এ কারণে ব্যবসায়ীরা এখন চট্টগ্রামের বদলে মংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি বেশি করছে। লক্ষমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ না হওয়ার এটা একটা বড় কারণ। তিনি জানান, উচ্চ শুল্কের বাণিজ্যিক পণ্যের আমদানির পরিমাণও কমে গেছে।
আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা জানিয়েছেন, উচ্চ শুল্কের বিভিন্ন পণ্য যেমন- সুতা, ফেব্রিক্স, খেলনা, ফুড আইটেম, বেবি ডায়াপারসহ বিভিন্ন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও পানগাঁও টার্মিনাল, ঢাকা আইসিডিতে খালাস হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে গত অর্থবছরের (২০১৯-২০) রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষমাত্রা ছিল ৫৮,২৯৮ কোটি টাকার। বছর শেষে আদায় হয়েছিলো ৪১,৮৫৩.৮৬ কোটি টাকা।