ইউসিবিএল এর সাথে একীভূত হবে ন্যাশনাল ব্যাংক
বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি)-র সাথে একীভূত হবে ন্যাশনাল ব্যাংক। এমনটাই জানান এবিষয়ে অবহিত কর্মকর্তারা।
উভয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শেয়ারহোল্ডারদের এক সভায় একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
২০২৩ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করেনি ন্যাশনাল ব্যাংক। তবে গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের যে আর্থিক প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণ হলো ৪২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। আর আমানতসহ মোট দায় ৪৮ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে ব্যাংকটি লোকসান দিয়েছে এক হাজার ১৯০ কোটি টাকা। মোট রিটেইনড আর্নিং এক হাজার ৯৬২ কোটি টাকা নেগেটিভ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ব্যাংকটির মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা, যেটি ২০২৩ সালের শেষপর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকও তাদের ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। তবে ওই বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর এই নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদনে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ বলা হয়েছে ৪৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। আর আমানতসহ মোট দায় হচ্ছে ৬২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা।
এই নয় মাসে ইউসিবি মুনাফা করেছে ১৭০ কোটি টাকা। তাঁদের রিটেইনড আর্নিং ছিল ৫৩৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। ২০২২ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছর শেষে মোট বিতরণকৃত ঋণের ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ ছিল খেলাপি।
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ার ৬ টাকা ৯০ পয়সা দর নিয়ে কার্যদিবস শেষ করেছে।
ইউসিবির পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে এক হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা, মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কার্যদিবস শেষে প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১১ টাকা ৪০ পয়সা।
ইউসিবির খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম, সে তুলনায় ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ অন্তত ৫০ শতাংশ বলেই ধারণা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের।
ব্যাংক দুটির মোট শাখার সংখ্যা সাড়ে চারশ'র বেশি।