জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স
দেশে আসা প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম এসেছে জুলাইয়ে। গেল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ডলার।
অবশ্য আগের বছরের একই মাসের তুলনায়– গেল জুলাইয়ে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ৩ শতাংশ কম হয়েছে বলে টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। গতবছরের জুলাইয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে প্রবাসীদের আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, সাধারণত মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের ডলারের দরে বিধিনিষেধ আরোপ করায়–গেল বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স নেমে এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলারে। এরপর থেকে আর কোনো মাসেই ১৯০ কোটি ডলারের নিচে নামেনি রেমিট্যান্স।
কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও বিক্ষোভের মধ্যে – ৫ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা, এবং তিনদিন ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকায়– গত সপ্তাহে রেমিট্যান্স আসা ব্যাহত হয়, খোলা যায়নি আমদানির ঋণপত্র-ও (এলসি)।
এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশকিছু ভিডিওতে, কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় প্রবাসীদের দেশে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার প্রতিবাদ জানাতে– মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের দেশে আনুষ্ঠানিক বা বৈধ চ্যানেলে (ব্যাংকের মাধ্যমে) রেমিট্যান্স না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষাপটে, একজন প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারি দলের কয়েকজন নেতা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহ্বান জানানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
একজন ব্যাংকার জানান, আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমার পাশাপাশি – গত সপ্তাহে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর ঘটনা অনেকটা বেড়েছে।
এই অবস্থায়, রেমিট্যান্সের ডলার উচ্চ দরে কিনতে ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়ার দুইদিন পরে– গতকাল আগের নির্ধারিত ১১৮ টাকার চেয়ে বেশি দরে তা না কেনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো ব্যাংক এই নির্দেশনা ভঙ্গ করলে কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
তবে প্রবাসী একজন বাংলাদেশি বুধবার জানান, প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এক্সচেঞ্জ হাউজ মানিগ্রাম রেমিট্যান্সের ডলারে ১২০ টাকা ৫৮ পয়সা দর দিচ্ছে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ১১৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে।