২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হার ১ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিবি) বরাদ্দের মাত্র ২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকারের মন্ত্রণালয়ে ও বিভাগগুলো, যা মোট এডিপি বরাদ্দের ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি বাস্তায়নের হার ছিল ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরে ছিল শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আএমইডি) এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
চলতি অর্থবছরে সরকারের এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
আইএমইডির কর্মকর্তারা জানান, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত প্রস্তুতিমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মককর্তারা। এ কারণে অর্থবছরের শুরুতে এডিপি বাস্তবায়ন হার কম থাকে। এছাড়া জুলাই মাস জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলা ব্লকেড ও অযোহযোগ আন্দোলনের প্রভাবেও এডিপি বাস্তবায়নের পড়েছে।
আএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা, যা সরকারি তহবিলের বরাদ্দের শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে সরকারি তহবিলের ১ দশমিক ২৭ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছিল।
অন্যদিকে বৈদেশিক সহায়তা খাতের বরাদ্দ থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ব্যয় হয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ১ হাজার ২৫১ কোটি টাকা, যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ১ দশমিক ২১ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, অর্থবছরের শুরুতে এডিপি বাস্তবায়নে কাজই করেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পরে অর্থবছর শেষের দিকে গিয়ে তড়িঘড়ি করে এডিপির অর্থ ব্যয় করে। দেখা যায়, অর্থবছরের শেষ দুই –তিন মাসে এডিপির ৫০ শতাংশের বেশি অর্থ ব্যয় হয়। এতে মানসম্মত কাজ হয় না। আবার অর্থেরও অপচয় হয়।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে কোনো অর্থ ব্যয় করতে না পারনি এমন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পযটন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাদ্দের ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।