ঘরে ফেরা: ঢাকার দৃশ্য দিল্লিতেও
ঢাকার মতোই ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাড়ি ফিরতে বাস টার্মিনালে ভিড় করেছেন হাজার হাজার মানুষ। ভারতজুড়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চললেও বাধ্য হয়েই এসব মানুষ দিল্লি ছাড়তে চাইছেন।
তাই বিশ্ব মহামারি করোনার ভয় উপেক্ষা করে হলেও এসব মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রগুলো জানায়, লকডাউনের ফলে বেকার হয়ে পড়া এসব মানুষ অনিশ্চয়তা নিয়ে দিল্লি ছাড়তে শুরু করেছেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত ২১ দিনের লকডাউনের প্রেক্ষিতে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এখন অস্তিত্ব সংকটে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে কাজ করতেন লাখো কর্মী। এরা সকলেই এখন বেকার হয়ে পড়ায় দিল্লির মতো ব্যয়বহুল শহরে থাকতে পারছেন না।এ অবস্থায় লকডাউনের চারদিনের মাথায় কাজহীন অবস্থায় দিল্লি ছাড়তে শুরু করছেন তারা।
শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের সীমানা এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় দিল্লি বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন এমন হাজারো শ্রমিক। যদিও লকডাউনের ফলে সেদেশে বাস ও ট্রেন ছাড়াও বন্ধ রয়েছে সমস্ত খাবার হোটেলসহ আনুষাঙ্গিক দোকান-পাট।
কোনো গণপরিবহন না পেয়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন অনেকে! এ অবস্থায় অনেকটা বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির সরকার।
করোনা মহামারির মাঝেও এভাবে শ্রমজীবী জনতার দুর্ভোগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই ঠেলেছেন।
নিজ টুইটার পোস্টে রাহুল লিখেছেন, কর্মহীন এসব মানুষ আমাদেরই ভাইবোন। ভারতজুড়ে এমন লাখ লাখ মানুষ এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে আছেন। তারা প্রাণপণে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। ভারতের নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের এমন আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই নিয়ে (কেন্দ্রীয়) সরকারের কোনো জরুরি পরিকল্পনাও নেই।