নতুন স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর ইচ্ছা নেই আমেরিকার: বাইডেন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, 'নতুন স্নায়ুযুদ্ধ' শুরুর কোনো ইচ্ছা আমেরিকার নেই।
অধিবেশন শুরুর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হতে পারে। গুতেরেসে সেই মন্তব্যের জের ধরেই এ কথা বলেন বাইডেন। গুতেরেস বলেছিলেন, 'আমাদের যেকোনো মূল্যে স্নায়ুযুদ্ধ এড়াতে হবে। নতুন করে এ যুদ্ধ বাধলে তা হবে আগেরটির চেয়ে আলাদা। সম্ভবত তা হবে আরও বিপজ্জনক এবং সেটি থামানোও হবে বেশি কঠিন।'
জো বাইডেন তার বক্তব্যে বলেন, উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য যেকোনো দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত আছে তার দেশ। এমনকি মতবিরোধ থাকলেও দেশটির সঙ্গে কাজ করতে রাজি আমেরিকা। আমেরিকা নতুন করে কোনো স্নায়ুযুদ্ধে জড়াবে না বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আমেরিকা এখনও মনে করে দুই রাষ্ট্রই ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার সবচেয়ে ভালো সমাধান। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা 'স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্রের' জন্য অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাবে।
আফগান যুদ্ধ থেকে ফেরার জন্য সর্বত্রই সমালোচনার বাণে জর্জরিত হয়েছেন বাইডেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আফগান যুদ্ধের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে আমেরিকা কঠোর কূটনীতির নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। দরকার হলে শক্তি প্রয়োগের প্রস্তুতি নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সর্বশেষ উপায় হিসেবেই কেবল সামরিক শক্তি প্রয়োগের কথা ভাবা হবে।' বাইডেন মন্তব্য করেন, আগামী দশক পৃথিবীর অনেক কিছুই স্থির করে দেবে।
ইরান ফিরলে আমেরিকাও ফিরবে
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফেরার বিষয়ে বাইডেন বলেন, ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফিরে এলে আমেরিকাও ফিরবে।
মঙ্গলবার ইরান বলেছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবারই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জো বাইডেন বলেন ইরানকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়া থেকে ঠেকানো আমেরিকার দায়িত্ব।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় আসার জন্য ইরান-আমেরিকার মধ্যে ভিয়েনায় ছয় দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে ভিয়েনা আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কট্টরপন্থী ইব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর গত জুনে ভিয়েনা আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।