বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসুস। একইসঙ্গে এই অবস্থা মোকাবেলায় সকল দেশের প্রতি প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভাইরাসটি প্রতিরোধ করা এখনও হয়তো সম্ভব। বিশেষ করে চীন এক্ষেত্রে ভাইরাস কবলিত কিছু শহরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে বেশ ভালো ফল পেয়েছে। কিন্তু এরপরও সংক্রমণটি বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই অবস্থায় সব দেশকেই আসন্ন বিশ্ব মহামারি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে।
হু প্রধান এমন এক সময়ে এই আহ্বান জানালেন, যখন করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি চীনের বাইরেও বেশ শক্তিশালী রূপ ধারণ করছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার পর্যন্ত নতুন করে ৬০টি সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ফলে এশিয়ার দেশটিতে মোট ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯৩ জনে। চীনের বাইরে এটাই সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা। খবর বিবিসি ও ডয়েচে ভেলের।
পাশাপাশি কোভিড-১৯ বিস্তার লাভ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। সোমবার পর্যন্ত ইতালিতে মোট ২২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়। এসব রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন।
এছাড়া সোমবার ইরান থেকে ভাইরাসটি আফগানিস্তান এবং ইরাকেও ছড়িয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কুয়েত, বাহরাইন এবং ওমানসহ প্রথমোক্ত দেশ দুটি এই প্রথম ভাইরাস সংক্রমণের কথা জানাল।
কোভিড-১৯-এ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে চীনে। সেখানে মোট আক্রান্ত ৭৭ হাজার ব্যক্তি এবং মারা গেছেন দুই হাজার ৬০০ জন। আর বাকি বিশ্বে এক হাজার ২০০ জন সংক্রমিত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে; সোমবার পর্যন্ত এতে মারা গেছেন ২০ জন।
এদিকে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের চেষ্টায় চীন আরেক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে। ১৯৭৮ সালের পর এই প্রথম স্থগিত করা হচ্ছে শাসকগোষ্ঠী সমাজতন্ত্রী দলের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস। আগামী মাসে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।