মাস্ক নিয়ে সুর পাল্টালেন ট্রাম্প
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার গুরুত্ব যেখানে একবাক্যে প্রায় সবাই মেনে নিয়েছে, সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও অনেক কিছুর মতো এ বিষয়ে প্রকাশ করেছিলেন উল্টো অভিমত। মাস্ক না পরেই চলাফেরা করেছেন তিনি; হাজির হয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে।
এবার তার কণ্ঠে উল্টো সুর। বললেন, নিজের আশপাশে যদি মানুষ বেশি থাকে, তাহলে মাস্ক পরবেন তিনি।
এর আগে মাস্ক নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন ক্রমাগত উপেক্ষা করে ট্রাম্প বলতেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই।
এদিকে, ট্রাম্পকে রিপাবলিকান দলের এক শীর্ষ সদস্য আহবান জানান, যেন উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য তিনি মাস্ক পরেন। এর একদিন পরই আমেরিকার গণমাধ্যম ফক্স নিউজে মাস্ক পরার পক্ষে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
মাস্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প যা বলেছেন
ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি মাস্ক পরবেন কি না? জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মাস্কের পক্ষে। মানুষের ভীড়ে যদি থাকি, তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরব।'
তবে আমেরিকার সব জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই- এমন দাবি জোরের সঙ্গে আবারও তোলেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, 'আমাদের দেশে অনেক জায়গায় মানুষজন পরস্পরের কাছ থেকে বেশ দূরে অবস্থান করে।'
করোনাভাইরাস একদিন উধাও হয়ে যাবে- এমন কথা বিশ্বাস করেন কি না, জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'অবশ্যই কোনো এক সময় এটা চলে যাবে।'
মাস্ক নিয়ে আগে যা বলেছিলেন ট্রাম্প
জনসমাগমে মাস্ক পরার সুপারিশ গত এপ্রিলে করেছিল আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, মাস্ক তিনি পরবেন না। বলেছিলেন, মাস্ক পরবে কি না, সেটি যেকোনো মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।
অন্যদিকে, গত মাসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজনীতির জন্য কিছু মানুষ মাস্ক পরে!
এর আগে, মে মাসে মিশিগানে এক কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ক্যামেরার সামনে আসার আগে মাস্ক খুলে ফেলেছেন। ট্রাম্প বলেন, 'মাস্ক পরে সংবাদমাধ্যমকে আমি আনন্দ দিতে চাই না।'
ট্রাম্প যেদিন মাস্ক পরার পক্ষে মন্তব্য করেন, আমেরিকায় সেদিন একদিনে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।
জোনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এখন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ আটাশ হাজার।
- সূত্র: বিবিসি