আনস্মার্ট স্পাই-জর্জ স্মাইলি
স্মাইলির ভূমিকায় অ্যালেক গিনেস
স্মাইলি ক্লান্ত, জীবন ক্লান্ত। গাড়ি চালিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে এগোল। রাতের খাবারটা বাইরেই হবে। বিশেষ একটা কিছু হবে। এখন তো মাত্র লাঞ্চ করার সময়। ডিনার কোযাগলিনোতে, একটি সফল হত্যাকান্ডের জন্য সে একাই সম্ভবত এলসার নামে টোস্ট করবে। স্যাম ফেনানের মৃত্যুর সাথে জর্জ স্মাইলিরও চাকরি জীবনের ইতি টানার কৃতজ্ঞতার টোস্ট।
শ্লোয়ান স্ট্রিটের লন্ড্রি থেকে কাপড়গুলো নিল। তারপর বাইওয়াটার স্ট্রিটে একটি পার্কিং স্পেস পেয়ে গাড়িটা ঢুকালো, এখান থেকে তিনটি বাড়ির পরে তার বাড়ি। বাদামি কাগজে পেচানো লন্ড্রির কাপড়গুলো হাতে নিল, বেশ কসরৎ করে গাড়িটা লক করল। অভ্যাসবশতঃ গাড়ির চারপাশ একবার ঘুরে হ্যান্ডেলটা পরীক্ষা করল। তখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যখন দেখল ঠিক তার বাড়ির সামনে কেউ একজন গাড়ি পার্ক করেছে বেশ বিরক্ত হলো। মিসেস চ্যাপেলকে ধন্যবাদ যে বেডরুমের জানালা বন্ধ করে রেখেছে, নতুবা বৃষ্টি সব ভিজিয়ে দিত।
হঠাৎ স্মাইলি সতর্ক হয়ে উঠল। তার ড্রইং রুমে কিছূ একটার নড়াচড়া অনুমান করা যাচ্ছে। মানুষ আকৃতির হালকা ছায়া, কিছু একটা যে আছে স্মাইলি নিশ্চিত। সে কি সত্যিই দেখেছে না তার মন বলছে? কখনো কখনো ¯œায়ুর সূক্ষ্ম বার্তা, অনুধাবনের দূরবর্তী কোনো গুণ তাকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে থাকে। সে সেই সতর্কতা থেকে সাড়া দিল।
আর এক মুহুর্তও চিন্তা না করে সে হাতের চাবিটা ওভারকোটের পকেটে ছেড়ে দিল। সিঁড়ি ভেঙ্গে নিজের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল টিপল।
বেলের তীক্ষ্ম শব্দ ঘরে ছড়িয়ে পড়ল। তারপর কয়েক মুহূর্তের নীরবতা, দূর থেকে দরজার দিকে আসা কারো পায়ের শব্দ তার কানে ঢুকতে থাকল, শব্দটা দৃঢ় এবং আত্মপ্রত্যয়ী। চেইন টানা এবং ছিটকিনি খোলার শব্দ হলো, তারপর দ্রুত স্পষ্টভাবে দরজাটা খুলে গেল।
স্মাইলি তাকে আগে কখনো দেখেনি। লম্বা, ফর্সা, হ্যান্ডসাম, বয়স পয়ত্রিশ বছর। হালকা ধূসর স্যুট, সাদা শার্ট এবং সিলভার রঙের টাই দক্ষ কূটনীতিক, জার্মান কিংবা সুইডিশ। তার নির্বিকার বাম হাত জ্যাকেটের পকেটে।
স্মাইলি অনেকটা অপরাধের ক্ষমা চাওয়ার মতো তাকে বলল, সুপ্রভাত, স্মাইলি সাহেব কি ভেতরে আছেন?
দরজা পুরোটাই খোলা। একটুখানি বিরতি।
'হ্যা, ভেতরে আসুন না।'
সেকেন্ডের কিয়দাংশ ইতস্তত থেকে বলল, 'না ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে তাকে কি এটা দেবেন?'
কাগজে পেচানো লন্ড্রির কাপড়গুলো তার হাতে তুলে দিল। তারপর সিড়ি ভেঙ্গে নিচে নেমে তার গাড়ির কাছে চলে গেল।
সে জানে এখনও তাকে অনুসরণ করা হচ্ছে। গাড়ি স্টার্ট ছিল। নিজের বাড়ির দিকে একবারের জন্যও না তাকিয়ে স্লোয়ান স্কোয়ারের দিকে গাড়ি চালাল। স্লোয়ান স্ট্রিট-এ একটি একটি পার্কিং স্পেস পেয়ে গাড়িটা ঢুকিয়ে দিয়ে দ্রুত তার ডায়েরিতে সাতটি নম্বর লিখল। নম্বরগুলো বাইওয়াটার স্ট্রিটে পার্ক করা সাতটি গাড়ির।
এখন সে কী করবে? একটা পুলিশকে থামিয়ে ঘটনাটি বলবে? কিন্তু সে যেই হোক, এতক্ষণে সম্ভবত চলেই গেছে। এটা ছাড়াও আরো কিছু বিষয় নিয়ে বিবেচনা করার ছিল। সে গাড়িটা লক করে রাস্তা পেরিয়ে টেলিফোন বক্সে ঢুকল। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে ফোন করে স্পেশাল ব্রাঞ্চকে ধরল এবং ইন্সপেক্টর মেন্ডেলকে চাইল। কিন্তু তার মনে হলো ইন্সপেক্টর তার সুপারিনটেনডেন্ট-এর কাছে রিপোর্ট করে বিচক্ষণতার সাথে অফিস ছাড়ার আনন্দটা উপভোগ করতে মিচাম চলে গেছে। অনেক কথাই বলতে হলো, শেষ পর্যন্ত তার বাড়ি ঠিকানাটা নিতে পারল, তারপর আবার নিজের বাড়িতে যাত্রা করল। চত্বরের তিনদিক ঘুরে আলবার্ট ব্রিজে গিয়ে উঠল। নদীর মুখোমুখি একটি পার্কে বসে একটি স্যান্ডউইচ, একটি লার্জ হুইস্কি নিল এবং সিঁকি ঘন্টা পর ব্রিজটা পেরিয়ে মিচামের পথ ধরল। বৃষ্টি তখনও তার সাদামাটা গাড়িটার উপর পড়ে চলেছে। সে উদ্বিগ্ন, আসলেই খুব উদ্বিগ্ন।
ম্মাইলির চরিত্রে গ্যারি ওল্ডম্যান
অংশটুকু জন লা কারের প্রথম দিককার উপন্যাস কল ফর দ্যা ডেড-এর পঞ্চম অধ্যায় থেকে অনূদিত। তার লেখার ধরনটা কেমন তার একটু স্বাদ পাওয়াতে এই অনুবাদ, যদিও জানি অনুবাদ কখনো মূল রচনার স্বাদ দিতে পারে না। তবে এই অংশটুকু অনুবাদ করতে গিয়ে একটি বিশেষ আনন্দ পেয়েছি। উপন্যাসে যে সব স্থানের কথা বলা হয়েছে সাতাশ বছর আগে আমি জায়গাগুলো ভালো চিনতাম। স্মাইলির বাড়ি বাইওয়াটার মোড়ে। এটা চেলসিতে। এ রাস্তা থেকে বেরিয়ে খানিকটা এগোলেই শ্লোয়ান স্ট্রিট। টেমস নদীর উপর আলবার্ট ব্রিজটি তেমন নামডাকের ব্রিজ নয়, দেখতেও সাদামাটা। স্মাইলি যে দিকটাতে রওয়ানা হয়েছে-- মিচাম, সেই জায়গাটির প্রধান সড়ক মিচাম রোডের ৪৯ নম্বর বাড়িতে আমার আনাগোনা ছিল। এই উপন্যাস এবং গোয়েন্দা জর্জ স্মাইলির স্রষ্টার জন লা কারের জন্মস্থান এখান থেকে খুব দূরে নয়- হ্যাম্পস্টিড। বিদেশি ঔপন্যাসিকের কাহিনীর লোকেশনটা চিনতে পারা এটাও আমার কাছে একটা আবিস্কারের মতোই মনে হয়েছে।
জর্জ স্মাইলির নামের সাথে একটি খেতাব আছে 'ওবিই'- অর্ডার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার। ঢাকার ভানু বন্দোপাধ্যায়ের কৌতুকটিই মনে হলো। তার পূর্ব পুরুষ ল্যান্ড লর্ড ছিলেন, কিন্তু নিলামে সব ল্যান্ড হাতছাড়া হয়ে যাবার পর লর্ডই কেবল রয়ে গেছে। সে কারণেই তিনি লর্ড ভানু। ব্রিটিশদের কেবল নিজেদের দেশটাই আছে, সাম্রাজ্য হাতছাড়া হয়ে গেছে অনেক আগে, তবুও খেতাবটা তারা ধরে রেখেছে। রানিকে দিয়ে (রাজপুত্র চার্লস এমনই অপদার্থ, ডায়ানার মৃত্যুর পর মায়ের কাছাকাছি বয়সী ক্যামিলা পার্কার বাউলেসকে বিয়ে করার পর তার রাজা হবার সম্ভাবনা শিকেয় উঠেছে) বছর বছর লোকজন ধরে ইবিই দেওয়ায়। চার্লস লে কারেও তার সৃষ্টি জর্জ স্মাইলির জন্য রানির কাছ থেকে একটা বাগিয়ে নিয়েছেন। স্মাইলির পোশাক পরিচ্ছদ দেখলেই তার প্রতি করুনা জাগ্রত হবার কথা। কোন পোশাকে তাকে মানাবে সে ধারনাও তার নেই। অথচ কাপড়গুলো নতুন। দেখেশুনেই কি বেচারা এসব বেপে পোশাক কোন। অথচ জেমস বন্ড কতোটাই ভিন্ন। পোশাকে-আশাকে গতিতে ও ক্ষীপ্রতায়, সুন্দরী নারী সান্নিধ্যে তার কাছাকাছি যাবার মতো কেউ আছে?
১৯৬৫ দ্য স্পাই হু কেইম ফ্রম দ্যা কোল্ড সিনেমায় রিচার্ড বার্টন ও ক্লেয়ার ব্লুম
আসলে জর্জ স্পাইলি ব্রিটিশ ওভারসিজ ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি 'দ্য মার্কাস'এর একজন পেশাজীবী গোয়েন্দা কর্মকর্তা। জেমস বন্ড এর যুগে স্মাইলিকে ম্লান মনে হবারই কথা, কিন্তু জন লে কারের সাথে অনেকেই একমত যে গোয়েন্দার কাজ শো বিজনেস নয়, খুন-খারাবি নয়, গোয়েন্দার হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই। পারিবারিক জীবনে গোয়েন্দা হতভাগা হলেও সমস্যা নেই।
চশমাপড়া জর্জ স্মাইলি খাটো, শরীরের মাপে ওজন বেশি- ওবিস না হলেও ওভারওয়েট যে তাতে সন্দেহ নেই, মাথায় টাক পড়েছে, মধ্যবয়সী। যখন কোনো প্রাণীর সাথে তুলনার প্রশ্ন আসে তাকে মনে করা হয় ব্যাঙ কিংবা ছুচো অবশ্য যারা সিনেমাতে যারা জর্জ স্মাইলিকে দেখেছেন, সেখানে থ্রি পিস স্যুট পরা অবস্থায় দেখা গেছে, মোটেও বইয়ের স্মাইলির মতো নয়; তার পোশাক সত্যিই খারাপ, খুব ঢিলেঢালা, ব্যাগি ধরনের। ফলে তার পোশাকে বেশি খাপড় লাগে। যারা স্মাইলিকে কাছে থেকে দেখেছেন তাদের ধারনা পুরুষের ফ্যাশান সম্পর্কে মানুষটার ন্যুনতম ধারনা না থাকায় দর্জি তাকে কেবলই ঠকায় এবং তার কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে। চশমার কাঁচটা পুরু এবং গোল। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যখন তাকে ভাবতে হয় তার গলায় বাধা টাইয়ের ঝুলন্ত দুই কাপড়ের মোটাটা দিয়ে কাচটা মুছতে থাকে। আর এটাই হয়ে উঠেছে তার একটি ট্রেডমার্ক। ১৯৬১ সালে লে কারের কল ফর দ্য ডেড উপন্যাসে স্মাইলি যখন প্রথম আবির্ভূত হয় তখন তার বয়স ৫৫-র কাছাকাছি। টিঙ্কার টেইলর সোলজার স্পাই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট ১৯৭৩-১৯৭৪; এ সময় স্মাইলির বয়স বদলে ৫৮ করা হয়। দ্য অনারেবল স্কুল বয় এবং স্মাইলি'স পিপল এ তার বয়স ষাটের ঘরে; পরবর্তী উপন্যাসগুলোকে তার বযস ও ওজন দুটো ক্রমবর্ধমান। ২০১৭ প্রেক্ষাপটে রচিত ও সালের প্রকাশিত এ লেগাসি অব স্পাইস-এ তাকে ততোটা বুড়ো মনে হয়নি। যদি প্রথম বইটির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করতে হরে তার বয়স দাড়াবে কমপক্ষে ১০২ বছর। নিউ ইয়র্ক টাইমস এর ডোয়াইট গার্নার লিখেছেন, স্মাইলির অবস্থা ইংরেজি ভাষার কবি ফিলিপ লারকিনের মতো স্থায়ীভাবে ষাট বছরে ঠেকে আছে।
জন লে কারে
লে কারের বিভিন্ন উপন্যাসের হিসেব অনুযায়ী ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মধ্যবিত্ত পরিবারে স্মাইলির জন্ম ১৯০৬ থেকে ১৯১৫-র মধ্যে । তার শৈশবের শেষ ভাগটা কেটেছে জার্মানিতে। কম দরের পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছে, তারপর অক্সফোর্ড কলেজে-- সেখান থেকে এমন কিছু তার অর্জন হয়নি, তবে স্পাইলি নিজেকে লিঙ্কন কলেজের ফেলো হিসেবে পরিচিত করাতে পছন্দ করে। স্নাতকোত্তর পাঠ নেবার সময়ই গোয়েন্দা সংস্থা সার্কাস-এ তার অন্তর্ভুক্তি, তার শিক্ষক জেবেডি। তার গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ হয় সেন্ট্রাল ইউরোপ এবং সাউথ আমেরিকায়, ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৮ এই সময়টা তার জার্মানিতে কাটে। এ সময় লেকচারের ছদ্মবেশে স্পাই-এর কাজই তাকে করতে হয়। তার কর্মক্ষেত্রে বিশেষ করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মানির বাইরেও সুইজারল্যান্ড এবং সুইডেনের ব্যপ্ত হয়। তার যুদ্ধকালীন জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তারা স্মাইলি সম্পর্কে বলেন যে, লোকটি শয়তানের মতো ধূর্ত এবং তার বিবেক কুমারী তরুণীর।
যুদ্ধ চলাকালেই ১৯৪৩ সালে তাকে সার্কাসের সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই কর্মরত অবস্থায় সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত সুন্দর অভিজাত এবং যথেষ্ট যৌন আবেদনময়ী নারী ল্যাডি অ্যান সারকমকে প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করতে সমর্থ হয়। ল্যাডি অ্যান যে আদৌ বিশ^স্ত কোনো স্ত্রী নয় তা অল্পদিনেই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়। তার বহু সম্পর্ক সূচিত হয় এবং ভেঙ্গেও যায়। স্মাইলিকে ছেড়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে, নতুন পুরুষটির সাথে সম্পর্কর উত্তেজনা ফুরোলেই তার এই ফিরে আসা। ১৯৪৭ সালে দ্য সার্কাসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে পড়াশোনা করতে অক্সফোর্ডে ফিরে আসে। কিন্তু ততোদিনে স্নায়ুযুদ্ধে স্পাইয়ের কাজ করার জন্য ডাক পড়ে। ১৯৫১ এর শুরু থেকে পরের এক দশক তাকে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স-এ বদলি করা হয়। দিল্লির কারাগারে স্পাইলির সোভিয়েত নেমেসিস কার্লার সাথে দেখা হয়। তার অবিশ্বাসী স্ত্রী তাকে যে সিগারেট লাইটারটি দিয়েছিল কার্লা তা চুরি করে নেয়। এই কার্লাকে সামনে রেখে জন লে কারে একটি ট্রিলজি রচনা করেন :
টিঙ্কার টেইল সোলজার স্পাই, দ্য অনারেবল স্কুলবয়, স্মাইলি'স পিপল
জর্জ স্মাইলি জন লে কারের ৯টি উপন্যাস দখল করে আছে। বাকীগুলো হচ্ছে : কল ফর দ্য ডেড প্রথম আবির্ভাব, এ মার্ডার অব কোয়ালিটি, দ্য স্পাই হু কেইম ফ্রম দ্য কোল্ড, দ্য লুকিং গ্রাস ওয়ার, এ লেগাসি অব স্পাইস এবং দ্য সিক্রেট পিলগ্রিম। ১৯৯০ সালের উপন্যাস দ্য সিক্রেট পিলগ্রিম-এ জর্জ স্পাইলকে অবসরপ্রাপ্ত একজন সুখী মানুষ হিসেবে দেখা যায়। এই চরিত্রটি জন লা কারের লিঙ্কন কলেজের শিক্ষক রেভারেন্ড ডিভিয়ান গ্রিনের অনুপ্রেরনায় সৃষ্ট। আর নামটি নিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্নেল ডেভিড ক্রিসপেনি স্মাইলির কাছ থেকে আর স্মাইলির চেহারা ও অবয়ব নির্ধারণ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রধান স্যার মরিস ওল্ডফিল্ডের চেহারা দেকে-- জন লা কারে সব স্বীকার করেছেন এমন নয়-- গবেষকরা বের করেছেন।
সিনেমা ও টেলিভিশন স্মাইলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন: রুপার্ট ডেভিস, জেমস স্যাসন, গ্যারি ওল্ডম্যান, অ্যালেক গিনেস, ডেনহোম এলিয়ট প্রমুখ।
স্মাইলি কি জন লা কারে নিজেই নন? এ প্রশ্ন অনেক পুরোনো।