জেমস বন্ড-এর ঘড়ি
১. জেমস বন্ড সিনেমাগুলোতে বিখ্যাত নায়কেরা যখন জেমস বন্ড সেজেছেন, সবাই একই ব্র্যান্ডের একই সিরিজের ঘড়ি পরেননি। প্রথম সিনেমা ১৯৬২ সালের ডক্টর নো-এর নায়ক সিন কোনেরি ব্যক্তিগতভাবে রোলেক্স ঘড়ির ভক্ত ছিলেন। এই সিনেমাটিতে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে চামড়ার স্ট্যাপের বাঁধা রোলেক্স সাবমেরিনার হাতে পরেছেন।
২. ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ, ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, জেমস বন্ড ভূমিকায় সিন কোনেরি, তাঁর হাতে ছিল রোলেক্স সাবমেরিনার।
৩. গোল্ডফিঙ্গার, ১৯৬৫ সালে মুক্তি পেয়েছে, জেমস বন্ড সেজেছেন সিন কোনেরি। তিনি হাতে পরেছেন রোলেক্স সাবমেরিনার আর একটি ব্রিটালঙ্গ ন্যাভিটাইসার। শেষের ঘড়িটি লন্ডনের রাস্তার পাশের সস্তাবাজার থেকে ২৫ পাউন্ড দিয়ে কেনা হয়েছিল। পরে ১ লক্ষ পাউন্ডে নিলাম হয়েছে।
৪. থান্ডারবল, ১৯৬৫; নায়ক সিন কোনেরি। ঘড়ি ব্রিটালঙ্গ টপ টাইম, সাথে আছে রোলেক্স সাবমেরিনার।
৫. ক্যাসিনো রয়াল, ১৯৬৭; নায়ক ডেভিড নিভেন। ঘড়ি রোলেক্স জিএমটি মাস্টার।
৬. ইউ ওনলি লিভ টোয়াই, ১৯৬৭; জেমস বন্ডের ভূমিকায় সিন কোনেরি। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহের গোল্ড গ্রুয়েন ওয়ানটি ব্যবহার করেছিলেন।
৭. অন হার ম্যাজিস্টিস সিক্রেট সার্ভিস, ১৯৬৯; জেমস বন্ডের ভূমিকায় জর্জ লেজেনবি। ব্যবহৃত ঘড়ি রোলেক্স ক্রোনোগ্রাফ। এই সিনেমায় রোলেক্স সাবমেরিনার ঘড়িও দেখা গেছে।
৮. ডায়মন্ডস আর ফর এভার, ১৯৭১; জেমস বন্ড সেজেছেন সিন কোনেরি। ব্যবহৃত ঘড়িটি গ্রুয়েন প্রিমিশন, ডক্টর নোতে এই ঘড়িটিই সিন কোনেরি হাতে পরেছিলেন।
৯. লিভ অ্যান্ড লেট ডাই, ১৯৭৩; জেমস বন্ডের ভূমিকায় রজার সুরু। দুটো ঘড়ি বন্ড ব্যবহার করেছেন : রোলেক্স সাবমেরিনার ও পালসার এলইডি ডিজিটাল ওয়াচ।
১০. দ্য ম্যান উইথ গোল্ডেন গান, ১৯৭৪; নায়ক বন্ড হলেন রজার সুর। হাতের ঘরি রোলেক্স সাবমেরিনার। তত দিনে এই ঘড়ি সিনেমাভক্ত ও জেমস বন্ডভক্তদের কাছে 'জেমস বন্ড রোলেক্স' নামে পরিচিত হয়ে গেছে।
১১. দ্য স্মাই লাভড সি, ১৯৭৭; বন্ড চরিত্রে রজার সুর। হাতের ঘড়ি সিকো ০৬৭৪। এ ছাড়া সুর রোলেক্স জিএমটি মাস্টার ব্যবহার করেছেন।
১২. মুনরেকার, ১৯৭৯, নায়ক রজার সুর। ব্যবহৃত ঘড়ি সিকো এম ৩৪৫।
১৩. ফর ইউর আইস ওনলি, ১৯৮১; নায়ক রজার সুর এটিতেও জেমস বন্ড। দুটো ঘড়ি ব্যবহার করেন। দুটোই সিকো। একটি সিকো ৭৫৪৯-৭০০৯, অন্যটি সিকো এইচ ৩৫৭, দুটোই ডিজিটাল ঘড়ি।
১৪. অক্টোপুসি, ১৯৮৩; বন্ডের ভূমিকায় সিন কোনেরি।
১৫. এই সিনেমাতে জেমস বন্ড কোন ঘড়ি ব্যবহার করেছেন, তা শনাক্ত করা যায়নি।
১৬. আ ভিউ টু আ কিল, ১৯৮৫; নায়ক রজার সুর ব্যবহৃত ঘড়ি সিকো ৬৯২৩-৮০৮০। এই সিনেমায় রজার সুর কমপক্ষে চারটি ঘড়ি পরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সিকো এসপিআর ০০৭, ৭-এ২৮-৭০২০, সিকো এইচ ৫৫৮-৫০০ ডাইল্ড ওয়াচ, সিকো ৬৯২৩-৮০৮০ এবং রোলেক্স ডেইটজাস্ট।
১৭. দ্য লিভিং ডে ফ্লাইটস, ১৯৮৭; জেমস বন্ড চরিত্রে টিমোথি ডালটন। টিমোথি হাতে পরেছেন স্ট্যাম্পবাঁধা ট্যাগ হিউয়ার প্রফেশনাল নাইট-ডাইভ-ডুবুরি ঘড়ি।
১৮. লাইসেন্স টু কিল, ১৯৮৯; জেমস বন্ড চরিত্রে পিয়ার্স ব্রসনান। পিয়ার্স হাতে পরেছেন রোলেক্স সাবমেরিনার।
১৯. গোল্ডেন আই, ১৯৯৫; বন্ড চরিত্রে পিয়ার্স ব্রসনান; হাতের ঘড়ি ওমেগা সিমাস্টার। ব্রসনান এই ঘড়িটি আগেও বন্ড হিসেবে হাতে পরেছেন।
২০. টুমরো নেভার ডাইস, ১৯৯৭; জেমস বন্ডের ভূমিকায় পিয়ার্স ব্রসনান। তাঁর হাতের ঘড়ি ওমেগা সিমাস্টার।
২১. দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ, ১৯৯৯; মূল চরিত্রে পিয়ার্স ব্রসনান। ব্যবহৃত ঘড়ি ওমেগা সিমাস্টার।
২২. ডাই এনাদার ডে, ২০০২; বন্ড চরিত্রে পিয়ার্স ব্রসনান। ঘড়ি পরেছেন ওমেগা সিমাস্টার।
২৩. ক্যাসিনো রয়ান, ২০০৬; বন্ড চরিত্রে ডানিয়েল ক্রেইগ। হাতের ঘড়ি ওমেগা সিমাস্টার।
২৪. কোয়ান্টাম অব সোলাস, ২০০৮; বন্ড হিসেবে এসেছেন ড্যানিয়েল ক্রেইগ, ঘড়ি ওমেগা সিমাস্টার।
২৫. স্কাইফল, ২০১২; নায়ক ড্যানিয়েল ক্রেইগ, ঘড়ি ওমেগা সিমাস্টার প্লানেট ওশেন।
২৬. স্পেন্টার, ২০১৫; জেমস বন্ড চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেইগ। ব্যবহৃত ঘড়ি ওমেগা সিমাস্টার। এই ঘড়িটি ড্যানিয়েল ক্রেইগের জন্য কোম্পানি পৃথকভাবে তৈরি করেছিল।
যাঁরা জেমস বন্ডের ভক্ত এবং ঘড়ির ব্যাপারেও যাঁদের অসীম আগ্রহ, তাঁরা কেবল ঘড়ির ব্র্যান্ড নাম জেনেই সন্তুষ্ট নন, তাঁরা মডেল ও বৈশিষ্ট্য জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। জেমস বন্ডকে যে ঘড়ি পরা অবস্থায় পর্দায় দেখা যায়, সে ঘড়ির চাহিদা বাড়তে বাধ্য।