নোবেল পুরস্কারের টাকায় আইনস্টাইনের তালাক

আইনস্টাইন ও মিলেভা মেরিক
মিলেভা মেরিক এবং আলবার্ট আইনস্টাইনের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। আইনস্টাইন তালাক চাচ্ছেন। আইনস্টাইনের তিন সন্তানের মা মিলেভা যুক্তিসঙ্গত কারণেই রাজি নন। ওদিকে তিনি লিখিতভাবে কয়েকটি শর্তে মিলেভাকে তার সাথে রাখতে সম্মত হন:
মিলেভাকে যা যা করতে হবে :
১. আমার কাপড় চোপড় ও বিছানা ঠিকঠাক রাখা।
২. আমার রুমে আমাকে তিনবেলা খাবার পরিবেশন করা।
খ. সামাজিক প্রয়োজনে যেটুকু দরকার হয় তা বাদে তুমি আমার সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক ত্যাগ করবে।
গ. এর বিনিময়ে তুমি আমার কাছে ভালবাসা দাবি করতে পারবে না।
ঘ. আমি যখনই তোমাকে আমার শোবার ঘর ও পড়ার ঘর থেকে চলে যেতে বলব কোনো ধরনের প্রতিবাদ ছাড়া তোমাকে তা পালন করতে হবে।
কিন্তু তার আগে ১৯১২ সাল থেকেই আলবার্ট এলসার সাথে ঘনিষ্ট হয়ে গেছেন। ঘনিষ্টতা এমন পর্যায়ে যেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ কম, তিন সন্তানের জননী এলসার কাছ থেকে তিনি ফিরতেও চাচ্ছেন না। এলসা তাকে বোঝেন এবং তার সেবার হাত অত্যন্ত কোমল।
ওদিকে ১৯০৫ সালেই মিলেভা তার এক বান্ধবীকে লিখেছেন, আমার স্বামী এমন বিশেষ কিছু আবিষ্কার করেছে যা তাকে বিশ্ববিখ্যাত করবে।

সেই আবিষ্কার বিশ্ববিখ্যাত যে করবে এ বিশ্বাস মিলেভার স্বামী আলবার্ট আইনস্টাইনের ছিলই, আর পড়াশোনায় মেধায় গবেষণায় মিলেভাও তো কম ছিলেন না-- তার আবিষ্কারের গুরুত্ব তিনি বোঝেন। অবশ্য কেউ কেউ বলেন এই আবিষ্কার আলবার্টের একার নয়, সাথে তার মেধাবী স্ত্রীও রয়েছেন। সেই বিখ্যাত আবিষ্কারটি হচ্ছে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব-- থিওরি অব রিলেটিভিটি। তারপর দশ-বার পদার্থ বিজ্ঞানের সম্ভাব্য নোবেল বিজয়ী হিসেবে আইনস্টাইনের নাম আলোচিত হয়েছে, ১৯২০ পর্যন্তও তার নাম ঘোষিত হয়নি। ১৯২১-এ তার নাম আবার আলোচনায় এলো, কিন্তু আপেক্ষিকতার তত্ত্বের জন্য নয়। ১৯২২ সালে তার নোবেল সাইটেশনে উল্লেখ করা হয় "services to theoretical physics, and especially for his discovery of the law of the photoelectric effect" -এর জন্য তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন। সে সময় পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল ৩২০০০ ডলার।

আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম জার্মানিতে, ১৪ মার্চ ১৮৭৯; মিলেভা ম্যারিকের জন্ম ১৯ ডিসেম্বর ১৮৭৫ এখনকার চেক রিপাবলিকে। মিলেভাও পদার্থ বিজ্ঞানী, গণিতবিদ। আইনস্টাইনের সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জুরিখ পলিটেকনিকে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী শিক্ষার্থী এবং গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে কোর্স সমাপ্ত করা দ্বিতীয় নারী। মিলেভার বাবা সাবেক সৈনিক ও পরে রাজকর্মচারি; ধনী পরিবারের মেয়ে হওয়াতে শ্রেষ্ঠ স্কুল কলেজে পড়েছেন, ভালো ছাত্রী হিসেবে নাম করেছেন। জুরিখ পলিটেকনিকে চলে এলেন, সেখানে সহপাঠী মেধাবী ছাত্র আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে গভীর সম্পর্কের পরিনতিতে সন্তান ধারণ করায় ১৯০১ সালে তার পড়াশোনা ব্যাহত হয়। একটি কন্যা সন্তান লিসারেল জন্মগ্রহণ করে। এই কন্যা সম্পর্কে দু'জনের কেউই কিছু বলেননি, সম্ভবত সার্বিয়াতে তাকে পালক দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ বলেন, লিসারেল স্কারলেট ফিভারে ভুগেছেন এবং ১৯০৩ সালে মারা যান। ১৯০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে দুজন বিয়ে করেন, প্রথম সন্তান হান্স আলবার্ট ১৯০৪ সালে জন্মগ্রহণ করে, দ্বিতীয় পুত্র এডুয়ার্ডের জন্ম আরো ছ'বছর পর ১৯১০ সালে। ১৯০৯ পর্যন্ত এই দম্পতি বার্ন শহরে ছিলেন, তারপর প্রাগ চলে আসেন। সেখানে একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনস্টাইন অধ্যাপনা শুরু করেন। পরের বছর আইনস্টাইন জুরিখেই প্রফেসরশিপ পেয়ে সানন্দে যোগ দেন। ১৯১৩-র জুলাই মাসে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক তাকে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানালে তিনি উচ্চতর গবেষনার সুযোগ পেতে চলে আসেন, কিন্তু মিলেভা ম্যারিক অসন্তষ্ট হন।
আইনস্টাইনের নোবেল মেডাল
সন্তান নিয়ে ব্যস্ততা এবং অ্যালবার্টের সাথে আজ এখানে কাল ওখানে করতে করতে তার নিজের পেশাগত জীবন আর দাঁড়ায়নি। এই হতাশার সাথে যোগ হয় তালাকপ্রাপ্ত খালাত বোন (আলবার্টের মায়ের আপন বোনের মেয়ে, আবার তার বাবারও আপন চাচাত ভাইয়ের মেয়ে) এলসার সাথে আলবার্টের প্রেমের যাতনা।
মিলেভা স্বামীর রূঢ় আচরনের শিকার হয়ে উঠেন, একসাথে সংসার করতে হলে আলবার্ট আইনস্টাইন কিছু অস্বামীসুলভ শর্ত আরোপ করেন তার ওপর।
২৯ জুলাই ২০১৪ যে দিন প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয় সেদিনই তিনি ছেলেদের নিয়ে জুরিখ চলে যান। বিচ্ছেদ স্থায়ী হতে থাকে। আলবার্ট প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর ৫৬০০ জার্মান মার্ক ভরণ পোষণ পাঠাতে থাকেন। তার বেতনের অর্ধেক চলে যায় তার বিচ্ছিন্ন সংসারে। আইনস্টাইন প্রতিশ্রুত অর্থ পাঠাতে কখনো হেরফের করেননি। পাঁচ বছরের সেপারেশনের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ তাদের তালাক চূড়ান্ত হয়। তালাক চুক্তির একটি শর্তই ছিল যদি তিনি নোবেল পুরস্কার পান পুরস্কারের সমুদয় অর্থ তার ছেলেদের জন্য তিনি একটি ট্রাস্টে জমা দেবেন। মিলেভা এই একাউন্ট থেকে কেবল সুদের টাকা তুলতে পারবেন, আর মূল অর্থে হাত দিতে হলে আইনস্টাইনের অনুমোদন ছাড়া তা করা যাবে না।
১৯১২ সালের নভেম্বরে আইনস্টাইন নোবেল পুরস্কার পেলেন। আপেক্ষিকতার তত্ত্বের জন্য নয়, পেয়েছেন ফটোইলেকট্রিক এ্রফেক্ট তত্ত্বের জন্য। এক চেকে টাকাটা আইনস্টাইনের একাউন্টে এলো। তালাক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আরেক চেকে তা ট্রাস্ট ফান্ডে চলে গেল। আইনস্টাইনের ছোট ছেলে শিজোফ্রেনিয়াগ্রস্ত হয়ে পড়লে খরচ বেড়ে গেল। এলসার পূর্ববিবাহজাত কন্যা মার্গেটের কাছে রক্ষিত পত্রাবলী তার মৃত্যুর ২০ বছর পর ২০০৬ সালে প্রকাশিত হলে জানা গেল নোবেলের টাকা তুলে মিলেভা তিনটি বাড়ি কিনেছিলেন, একটিতে থাকতেন, দুটির ভাড়ার টাকায় নিজের ও ছেলেদের ব্যয় নির্বাহ করতেন। কিন্তু ছেলের চিকিৎসার জন্য দুটো বাড়িই বিক্রি করতে বাধ্য হন। আইনস্টাইনের আরো যে অর্থ ব্যাঙ্কে ছিল ১৯২৯-এ মহামন্দায় মুদ্রার মূল্যহ্রাস ঘটলে তিনি ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। তারপরও চুক্তি বহির্ভূত অর্থ তার সন্তানদের তিনি পাঠিয়েই গেছেন। কাজেই সন্তানদের প্রশ্নে দায়িত্বহীনতার যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয় তা ধোপে টিকে না। তবে স্বামী হিসেবে যে তিনি আদর্শ নন এবং এক নারী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার নন নিজেই স্বীকার করে গেছেন।

থিওরি অব রিলেটিভিটি মিলেভা ও আইনস্টাইনের যৌথ কাজ কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাদের পুত্র হান্স আলবার্ট বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তিনি তার মা বাবাকে একত্রে বসে পড়াশোনার আলাপ করতে দেখেছেন, তবে তার মা পেশাগত জীবনে ফিরে যাবার কোনো আগ্রহ দেখাননি, (মিলিভা ৪ আগস্ট ১৯৪৮ জুরিখে মৃত্যুবরণ করেন, তখন তার বয়স ৭২ বছর।) অসুস্থ্ এডুয়ার্ড আইনস্টাইনকে স্থায়ীভাবে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়। ১৯৬৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এলসার জন্ম ১৮ জানুয়ারি ১৮৭৬। মিলেভা এবং এলসা দু'জনেই আইনস্টাইনের চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন। এলসা ১৮৯৬ সালে টেক্সটাইল ব্যবসায়ী ম্যাক্স লাভেনথালকে বিয়ে করেন, দুই কন্যা ইলসে ও মার্গেট এবং এক পুত্রের (জন্মের পরপরই মৃত) মা হন।

১৯০৮ সালে ম্যাক্সকে তালাক দিয়ে তিনি বাবামার কাছে ফিরে আসে। একই বাড়ির সন্তান আলবার্ট ১৯১২ থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মিলেভার সাথে আইনস্টাইনের তালাক চূড়ান্ত হবার ৩ মাস পর ২ জুন ১৯১৯ তারা বিয়ে করেন। তাদের কোনো সন্তান না হলেও দুই মেয়ে আইনস্টাইন সন্তুষ্ট ছিলেন, বিশেষ করে মার্গেট তার সন্তানেরও অধিক হয়ে উঠেন। এলসাই পরবর্তী জীবনের আইনস্টাইনের রক্ষক ও চালিকাশক্তি হয়ে বিরাজ করেন। কিন্তু আইনস্টাইন একের পর এক নারীর সাথে সম্পৃক্ত হতে থাকেন এবং নিজে তা স্বীকারও করেন। এলসা নোবেল পুরস্কারের টাকা পাননি, পেয়েছেন স্বামীর পদক আর সাইটেশন। ভীষণ অসুস্থ অবস্থায় ২০ ডিসেম্বর ১৯৫৩ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এখানেও আইনস্টাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর যন্ত্রণা প্রত্যক্ষ করা এড়িয়ে যেতে কাজের দোহাই দিয়ে তিনি সরে থাকতেন।

নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন এই সম্ভাবনা ধরে নিয়ে তালাকের জন্য আইনস্টাইন তার প্রথম স্ত্রীকে মরিয়া হয়ে যে চিঠি লিখেছেন তা অনেকটা ঘুষ দেবার প্রস্তাবের মতো, শেষে হুমকিও দিয়েছেন। সে চিঠিটির অনূদিত ভাষ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে :
প্রিয় মিলেভা,
আমার ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর সুরাহা করতে তোমাকে দ্বিতীয় বারের মতো তালাকের প্রস্তাব দিতে বাধ্য হচ্ছি। আমি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা লিখছি তা যে কোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করব। তালাক সম্পাদন করলে আমি তোমাকে পর্যাপ্ত আর্থিক সুযোগ প্রদানের অঙ্গীকার করছি।
১. আগের ৬০০০ মার্কের পরিবর্তে এখন ৯০০০ মার্ক দেওয়া হবে, সন্তানদের জন্য বার্ষিক ২০০০ মার্ক জমা হবে।
২. যদি তালাক হয়ে যায় এবং যদি আমাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় পুরস্কারের সম্পূর্ণ অর্থ তোমার তত্ত্ববধানে সুদ উত্তোলনের জন্য প্রদান করা হবে। সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য সমুদয় অর্থ সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকে জমা রাখা হবে। সে ক্ষেত্রে ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত অর্থের পরিবর্তে বার্ষিক একটি বরাদ্দ দেওয়া হবে। তাতে তোমার স্বেচ্ছাধীন ব্যয়ের জন্য ৮০০০ মার্ক পাবে।
৩. তালাক সম্পন্ন হলে তোমার জন্য বিধবা পেনশনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করছি।
তোমার স্বেচ্ছা তালাকের জন্যই আমি এত বড় স্বার্থ উৎসর্গ করতে যাচ্ছি। যদি তুমি এতে সম্মতি না দাও এখন থেকে ৬০০০ মার্কের একটি সেন্টও সুইজারল্যান্ডে পাঠানো হবে না। আমি তোমাকে অনুরোধ করছি আমি জানতে চাই তুমি আমার বিরুদ্ধে একটি ডিভোর্স ক্লেইম মামলা দিতে সম্মত কিনা? এ ক্ষেত্রে আমিই সব কিছুর ব্যবস্থা করব, তোমার কোনো ধরনের অসুবিধে হবে না।
তালাক চুক্তির কেন্দ্রে সম্ভাব্য নোবেল পুরস্কারের অর্থ রেখে ১৯১৮-র জুন মাসে তালাক চুক্তি চূড়ান্ত হয় এবং ১৯১৯ সালে তালাক অনুমোদিত হয়। আইনস্টাইন ১৯২২ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থ পেয়েই চুক্তি অনুযায়ী মিলেভা ম্যারিকের তত্ত্বাবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে তা পাঠিয়ে দেন। নোবেল পুরস্কারের অর্থই এই তালাকটিকে শান্তিপূর্ণভাবে ঘটিয়ে ছিল।

আরও একটি তালাকের দায়
আরও একটি তালাকের দায় মেটাবে নোবেল পুরস্কারের টাকা। এবার বিজ্ঞানী নন, অর্থনীতিবিদ। রবার্ট লুকাস জুনিয়র, এখন বয়স ৮৩, এখনও বেশ আছেন। ১৯৯৫ সালে অর্থনীতি যৌক্তিক প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে নোবেল পুরস্কার পান। নোবেল সাইটেশনে উল্লেখ করা হয় তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন: "for having developed and applied the hypothesis of rational expectations, and thereby having transformed macroeconomic analysis and deepened our understanding of economic policy"
টাকার অঙ্কে ১ মিলিয়ন ডলার। স্ত্রী রিটার সাথে বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের অসমঝোতার কারণে ১৯৮৯ সালে তালাক হয়ে যায়। রিটার উকিল যখন তালাক চুক্তির খসড়া দেখান রিটা বলেন, আরো একটি বিষয় ঢুকিয়ে দিন: রবার্ট লুকাস নোবেল পুরস্কার পেলে তার ৫০% অর্থ রিটা পাবে।

রবার্ট লুকাস নোবেল পুরস্কার পাবেন এটা তখনো মনে করেননি, সুতরাং যা ইচ্ছে তাই লিখুক, তিনি সই করে দিলেন। এ ধরনের চুক্তির একটি বৈধতার মেয়াদ থাকে। সে অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর ১৯৯৫ বৈধতার মেয়াদ শেষ হবার কথা। মাত্র ক'দিন বাকি থাকতে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হলো। সাংবাদিকরা লিখলেন, আসল বিজয়ী রিটা লুকাস।
রবার্ট লুকাস যদি ১৯৯৬ তে নোবেল পুরস্কার পেতেন, রিটা একটি সেন্টও পেতেন না। এখন সাবেক স্বামীর অর্ধ মিলিয়ন ডলার তার কাছে চলে এল।
রিটা লুকাস (১৯৩৩-২৯২০)
সাংবাদিক এলেন ওয়ারেন রবার্ট লুকাসকে জিজ্ঞেস করলেন, অর্ধেক কি রিটা পেতে যাচ্ছেন?
রবার্ট লুকাস বললেন, চুক্তি চুক্তিই, বরখেলাপের সুযোগ নেই। রিটা হয়ত ভেবেছিল আমি নোবেল পুরস্কার পাব। আমি ভাবিনি, ভাবলে নিশ্চয়ই চুক্তির ঐ শর্তটি বাদ দিতে চেষ্টা করতাম।
যৌক্তিক অর্থনৈতিক প্রত্যাশা নিয়ে নোবেল পুরস্কার লাভ করলেও লুকাস যৌক্তিক প্রত্যাশা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সফল হয়েছেন তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রিটা।