‘ঈশ্বরের কাঠ’– আগর ও এক অনন্য সুরভির গল্প
কন্নৌজ। দক্ষিণ ভারতের লখনৌ এর অদূরে অবস্থিত ছোট একটি শহর, লোকে ভালবেসে যাকে 'আতর নগরী'-ও বলে থাকে। মজার ব্যাপার হল কন্নৌজের সুগন্ধই তার রাস্তা বাতলে দেয়। সুগন্ধিশিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ এ শহরের অলি-গলিকে আচ্ছন্ন করে রাখে বিভিন্ন অভিজাত ও মনোমুগ্ধকর আতরের সুঘ্রাণ। এমনকি নর্দমাগুলো থেকেও ছড়াতে থাকে সুবাস। এ শহরের এ মূল্যবান সুগন্ধি আতর , গন্ধস্বার তেলগুলো তৈরি হয় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ও প্রাকৃতিক উপকরণ থেকে, যার মধ্যে গুণে ও মানে অনন্যসাধারন এবং প্রধান এক উপাদান - 'আগর কাঠ'।
প্রকৃতি যে প্রতিনিয়তই আমাদের নানান রহস্যময় ও মূল্যবান সম্পদ দিয়ে ঘিরে রাখে তারই এক দৃষ্টান্ত এই – আগর কাঠ; যাকে বিশেষ সম্মানের সাথে 'The woods of the Gods' বা 'ঈশ্বরের কাঠ' বলা হয়ে থাকে।
আগরকাঠ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন–আগরউড, ওউদ , অ্যালোসউড, ঈগলউড, গাহারু, জিনকো ইত্যাদি। এটি মূলত অ্যাকিলারিয়া (Aquilaria) নামক গাছ থেকে প্রাপ্ত সুগন্ধযুক্ত ও অত্যন্ত মূল্যবান হার্ডউড। গাছটি সমতল অঞ্চলে খুব একটা দেখা যায় না এবং কান্ড, ডাল-পালাও সরাসরি সুগন্ধি নয়। বিচিত্র এক প্রক্রিয়ায় গাছের সাধারন কাঠটি হয়ে উঠতে থাকে মহামুল্যবান আগর। মূলত গাছটির কান্ডের ভিতর, অভ্যন্তরীণ আঘাত বা সংক্রমণের কারণে তৈরি হতে থাকে রজন (Resin)। কিন্তু আধুনিককালে প্রক্রিয়াটিকে তড়ান্বিত করতে, কৃত্রিমভাবে পরিণত গাছগুলোর দেহে ছিদ্র করে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয় বিশেষ এক প্রকারের অণূজীব যা গাছের ঐ অংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ও এক পর্যায়ে শুকিয়ে ফেলে। তারপর শুকিয়ে যাওয়া সে অংশগুলো (রেজিন ও কাঠ) সংগ্রহ করা হয়, যা থেকে তৈরি হয় মহার্ঘ্য আতর ও গন্ধস্বার তেল (Essential oil)।
এখন আসা যাক, কেন একে বলা হয় – ঈশ্বরের কাঠ।
মূলত বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিতে আগর কাঠকে 'পবিত্র উপাদান' হিসেবে স্বীকৃতি ও এর আধ্যাত্নিক গুরুত্বের জন্য একে এ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আগরের ইতিহাস খুঁজতে গেলে দেখা যায় সুপ্রাচীনকাল পর্যন্ত তার বিস্তৃতি এবং তার ব্যবহার বিভিন্ন আঞ্চলিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। আদি মানব ইতিহাস থেকে প্রাথমিক শাস্ত্রীয় কাল পর্যন্ত সুগন্ধিগুলো কেবল শাসক ও পুরোহিত শ্রেণীর ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। ধারণা করা হতো কেবলমাত্র এদেরই রয়েছে ঈশ্বরের সাথে সংযোগ স্থাপন করার জ্ঞান ও ক্ষমতা। ইতোপূর্বে আগরের মত যেসব সুগন্ধি কাঠ ও গাছপালার নিরাময় প্রভাবগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে, বিভিন্ন সম্রাট ও শাসকগণ সেসব তথ্য ও ব্যবহারবিধিগুলো খুঁজে বের করতেন। এবং নিজেরা তা আহরণ করে উপভোগ করতেন তাদের প্রভুভক্ত জনগোষ্ঠীর সীমাহীন সম্মান। সেসময় প্রচলিত বিশ্বাস ছিল- কেবলমাত্র ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারীদের কাছেই থাকতে পারে নিরাময়ের জ্ঞান।
ওউদ – হিন্দু, বৌদ্ধ ,ইসলাম, খ্রিস্ট, তা'ও, সুফি প্রভৃতি ধর্মীয় সংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন – আগরের ধূপ ধ্যানের সর্বোচ্চ স্তর অর্জন করতে সহায়তা করে। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীগণ এটি ব্যবহার করেন তাঁদের জপমালায়। আগরকাঠের ১০৮টি গুটিকা দিয়ে তৈরি হয় সে মুল্যবান জপমালা যা প্রতিনিধিত্ব করে ১০৮টি ধর্মাচরণকে। শরীরের তাপমাত্রায় উষ্ণ হয়ে সে মালা ছড়াতে থাকে এমন এক সুবাস যা মনে এনে দেয় স্বচ্ছতা ও প্রশান্তি। বলা হয়ে থাকে এ সুবাস ভেদ করতে পারে ত্রিলোক বা ত্রিভুবনকে যা তাকে করে তোলে উপাসনার গুরুত্বপূর্ণ অর্পণ।
খ্রিস্টীয় ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে একাধিকবার উল্লিখিত হয়েছে আগরউডের কথা। এর আধ্যাত্নিক গুরুত্বের কথা অনুধাবন করা যায় যিশুখ্রিস্টের ক্রশারোহণের পর এই 'অ্যালোসউড' ও গন্ধরস (Myrrh) দ্বারা তাঁর দেহ অভিষিক্ত করার উদ্ধৃতি থেকে। অপর একটি বর্ণনায় আগরগাছকে উল্লেখ করা হয়েছে 'ঈশ্বরের দ্বারা রোপিত বৃক্ষ' হিসেবে।
মুসলিমবিশ্বে আগরকে বিবেচনা করা হয় মানবজাতিকে দেয়া ধরিত্রীর অনন্য উপহার হিসেবে। ইসলাম ধর্মে এটি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন উৎসব উদযাপন ও প্রার্থনায়। পবিত্র কা'বা ঘরের পরিচর্যা রীতির এক অপরিহার্য উপাদান এই - 'ওউদ'। হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) সুনির্দিষ্টভাবে আগরকে উল্লেখ করেছেন উৎকৃষ্ট সুগন্ধি ও বিভিন্ন রোগের প্রতিকারক হিসেবে। এছাড়াও হাদিসে বর্ণিত আছে, জান্নাতবাসীগণ সেখানে যে সুগন্ধি কাঠ প্রজ্বলন করবেন তা এই – আগরকাঠ। তাই মুসলিমদের কাছে রয়েছে এর বিশেষ কদর।
হিন্দু ধর্মের বেদ, মহাভারতে আগরকাঠকে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাচুর্য ও ভক্তির নিদর্শন হিসেবে, যা ছিল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, অভিবাদন বা পূজায় ব্যবহার্য মুল্যবান সামগ্রী।
বহু শতাধিক উদ্ভিদ প্রজাতি সুগন্ধিদ্রব্য তৈরি করলেও আগর তারমধ্যে অনন্য। শুধুমাত্র প্রসাধনী সুগন্ধি, তেল বা সাবান নয়, যুগে যুগে এর নানান ব্যবহারের মধ্যে আগর প্রচলিত ছিল –আয়ুর্বেদিক ও সমসাময়িক চিকিৎশাস্ত্রে, রন্ধনশিল্পে - পাতা থেকে চা প্রস্তুত, পান (Betel leaf) ও বিভিন্ন সুগন্ধময় খাবারের মশলা হিসেবে।
ঔপনিবেশিক বাণিজ্যের সময় থেকে যুগ যুগ ধরে এ কাঠ ভারত, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশে উৎপাদিত হয়ে ছড়িয়ে পরে বিশ্বময়। ধারণা করা হয় আরবীয় উপকূল, মধ্যপ্রাচ্য, চীন, জাপান – দেশগুলিতে "দ্য উড অফ দ্য গডস" এর রয়েছে কমপক্ষে ৩০০০ হাজার বছরের ইতিহাস।
সুগন্ধির ব্যবহার কোন অঞ্চলের মানুষ প্রথম শিখেছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে, তবে মিশরকে বলা হয় সুবাস সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর। সেসময় মিশরীয় সুগন্ধিশিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান যেমন- ধূপগাছ, কাঠ, রজন, ফুল, জাফরান ও বিভিন্ন লতাগুল্মের মাঝে আগরকাঠ ছিল অন্যতম প্রধান। গ্রীক ইতিহাসবিদ হেরোডটাসের বর্ণনায় পাওয়া যায়, পিরামিডীয় যুগেও এর ব্যবহার ছিল প্রভাবশালী ফারাওদের মৃতদেহ সংরক্ষনে। মিশরীয়রা "বাখুর" বা ধূপদানের পদ্ধতি আবিষ্কার না করলেও প্রাথমিক নথিপত্রগুলোয় তদের ব্যবহারের কথা লিপিবদ্ধ পাওয়া যায় যা দেখে গ্রীস, রোমসহ আরো বিভিন্ন দেশে এর প্রচলন হয়।
প্রাচীন চীনে ধনী ব্যাক্তিদের কফিনে ব্যবহার করা হতো এই 'আগরউড'। হাজার বছর ধরে আগরকাঠের ধূপ চীনাদের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য অনুপ্রাণিত করে এসেছে। ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৭০৭ খ্রিস্টাব্দের থেকে চীনারা ধূপের ব্যবহার শুরু করেছিল তবে ২০৬ খ্রিস্টাব্দের সময় থেকে হান সাম্রাজ্ঞ্যের সম্রাট ও রাজবংশীয়রা আগরকে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। ২২০-৫৮৯ খ্রিস্টাব্দের দিকে চীনারা তাদের পোষাক সুবাসিত করার জন্য এই ধূপ ব্যবহার করতো। সেসময় পন্ডিত ব্যক্তিবর্গের কাছে এটা ছিল শখের বিষয়। এখানেও চন্দন, কস্তুরি, অ্যাম্বারগ্রিসের মত নানান উপাদানের মধ্যে আগরকাঠের ধূপ ছিল সবচেয়ে প্রশংসিত।
জাপানী সভ্যতায় আগরকাঠের আবির্ভাবের ইতিহাসটি বেশ সুন্দর। দক্ষিণ-পূর্ব জাপানের ছোট একটি দ্বীপ আউজি। ৫৯৫ খ্রিস্টাব্দের এক রৌদ্রজ্জল দিনে দ্বীপের সৈকতে ভেসে আসে আগরকাঠের এক বিশাল টুকরো। দ্বীপবাসীদের কয়েকজন একে শুকিয়ে পরবর্তীতে একদিন সাধারন কাঠের মত জ্বালানি হিসেবে আগুনে দিলে বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করে তা থেকে বেরিয়ে আসছে এক তীব্র সুবাস। পরবর্তীতে তারা এর একটি অক্ষত টুকরো উপহার দেয় রাণি সুইকোকে এবং সে থেকে জাপানে শুরু হয় এর প্রচলন। এবং ধীরে ধীরে তাদের সংস্কৃতিতে দখল করে নেয় এক পাকাপোক্ত আসন। এমনকি আজ অবধি তারা বেশ আড়ম্বড়ের সাথে পালন করে কুডো নামে আগরের ধূপ পরীক্ষণ ও সমঝদারির এক অনুষ্ঠান।
ইউরোপীয় দেশগুলোর সুগন্ধিশিল্পে বা সাধারনভাবে এর ব্যবহার সুপ্রচলিত না হলেও বিশ্ব বাণিজ্যের সুবাদে ১৪০০ শতাব্দির শুরু থেকেই তারা ওয়াকিবহাল ছিল তৎকালীন ভারতবর্ষের প্রসিদ্ধ আগরকাঠ সম্পর্কে। তাই সুযোগ বুঝে পর্তুগীজ, ফরাসী ও ইংরেজ বণিকরা একেও অন্তর্ভুক্ত করে নেয় তদের লাভজনক বাণিজ্যে।
ইউরোপীয়রা এটি ব্যবহার করতো মুলত হাতে নিয়ে ঘষে, যা থেকে ছড়াত সুবাস। ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই-এর পরিধেয় কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো গোলাপজল, যাতে আগেই সেদ্ধ করা হয়েছে সুগন্ধি আগর।
আরবীয় ব-দ্বীপ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগরের সম্মান ও সমাদর কল্পনাতীত। এর হালকা ঝাঁঝালো ও সমৃদ্ধ কাঠময় ঘ্রাণ বিত্ত, মর্যাদা ও আরবীয় সংস্কৃতির প্রতীক। আরবের স্থানীয় সুগন্ধির দোকানগুলোর বাইরে সুদৃশ্য জ্বলন্ত বার্নার থকে ছড়াতে থাকা- সুবাসিত 'বাখুর'(Incense) মনে জাগিয়ে তোলে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম আবেগময় অনুভুতিকেও। মসজিদ থেকে শুরু করে বসত বাড়িসহ আরবের সর্বত্রই আগরের জয়জয়কার। খলিফা হারুণ-অর-রশীদের সময়ে রচিত 'আরব্য রজনী'র গল্পগুলোতে বহুবার উঠে এসেছে আগরের কথা- কখনও সুগন্ধি আতর, বাখুর, প্রার্থনা রীতি বা শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে; কখনও ধন-দৌলত ও বাণিজ্যের সম্পর্কে; কখনওবা প্রবেশদ্বার ও রাজার প্রিয় পাখিটির খাঁচা বানানো প্রসঙ্গে। আরবীয় ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এই আগর।
ভারতীয় ঐতিহ্যের সাথে বহু শতাব্দী ধরে মিশে আছে ও তার নানাবিধ ব্যবহার। মধ্য-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে উৎপন্ন হলেও ভারতের আগরকাঠকে বলা হয়ে থাকে সর্বোৎকৃষ্ট। সঙ্গত কারনেই এ অঞ্চলে আগরকাঠের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস যা বর্ণিত আছে অসংখ্য কবিতা, সুগন্ধি, ঔষধ ও বাণিজ্য বিষয়ক পাণ্ডুলিপিতে। মৌর্য সাম্রাজ্ঞ্যে রচিত 'অর্থশাস্ত্রে' আগরকাঠকে বিবেচনা করা হয়েছে অত্যন্ত লাভজনক পণ্য হিসেবে। এছাড়াও উল্লেখ আছে প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ বেদ-এ। আগর শব্দটির উৎপত্তিও মূলত সংস্কৃত "আগারু" থেকে।
১৬০০ শতাব্দীতে ভারতের মূঘল শাসনামলে ধূপ ও সুগন্ধি ছিল প্রাত্যহিক রাজকীয় জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। প্রাচীন ও সমসাময়িক প্রণালীর উপর ভিত্তি করে সেসময় বর্ণিত হয়েছে ১২টি অভিজাত সুগন্ধির প্রস্তুত প্রণালী, যার মধ্যে ১১টিতেই ছিল আগর বা আগর থেকে তৈরি মুল্যবান গন্ধস্বার তেল।
আগরের মনোমুগ্ধকর অরণ্যময় সুগন্ধ ও দুষ্প্রাপ্যতা তাকে দিয়েছে এক অনন্য ও রহস্যময় স্থিতি। বর্তমান সময়ে পাশ্চাত্য ধারার বড় বড় প্রস্তুতকারকেরা এর সাথে কৃত্রিম উপকরণ মিশিয়ে বিভিন্ন আধুনিক পারফিউম তৈরি করলেও, সুগন্ধিপ্রেমীদের কাছে কন্নৌজের কারিগরদের মত মাটির ডিস্টিলারিতে প্রস্তুত বিশুদ্ধ আগরের - ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধির কদর যেন বেশিই।
কালের আবর্তে প্রাচীন সংস্কৃতির অনেককিছু হারিয়ে গেলেও হারায়নি – আগর কাঠ; বরং যুগ যুগ ধরে বেড়েই চলেছে এর আবেদন। আর সকল গুনের পাশাপাশিনর-নারীর মনে প্রশান্তি ও আদিম অনুভূতিগুলো জাগিয়ে তুলতে এর মোহময় সুবাসের জুড়ি মেলা ভার। নিঃসন্দেহে আগর স্থান, কালের সীমারেখা ছাড়িয়ে; সমগ্র মানবজাতি, ধর্ম ও সংস্কৃতিকে অতিক্রম করে ছড়িয়ে দিয়েছে তার মুগ্ধতা।
- তথ্যসূত্র:
www.springer.com
www.wescorp.com
www.kemitron.com
www.vietnamagarwood.wordpress.com
www.oud-selection.com
www.hgagarwood.com
www.ruralasset.com
www.wikipedia.com