মেসিকে আটকানোর পথ জানে ব্রাজিল
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার তিনি। বার্সেলোনার মতো আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগেরও প্রধান অস্ত্র লিওনেল মেসি। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় দলের রণকৌশল। যেকোনো প্রতিপক্ষের রক্ষণদূর্গ ভেঙে গোল আদায় করে নিতে মেসির জুড়ি নেই, তা ভালো করেই জানা আছে ব্রাজিলের। কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সেরা অস্ত্রকে সামলাতে তাই ছক কষে যাচ্ছে ব্রাজিল।
ইতোমধ্যে আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরকে আটকানোর পথ পেয়ে গেছে কোপার স্বাগতিকরা। একজনের পক্ষে মেসিকে যে আটকানো সম্ভব নয়, তা জানেন ব্রাজিলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মার্কিনিয়োস। দলীয় প্রচেষ্টায় মেসিকে আটকানোর পরিকল্পনা তাদের। আর মেসিকে রুখতে আত্মবিশ্বাসী পিএসজির তারকা এই ফুটবলার।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় থাকে ম্যাচ। এর আগে প্রথম সেমি-ফাইনালে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে ব্রাজিল। আগামী রোববার রিও দি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মেসির সামর্থ্য নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন না থাকলেও আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের শিরোপা জয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা। এখন পর্যন্ত দলের হয়ে বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে ফাইনালে তুলেও জার্মানির বিপক্ষে হার মানতে হয় তাকে। কোপার তিনটি ফাইনালে খেলে একবারও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার।
মেসির মতো একজন ফুটবলারের নামের পাশে বড় একটি শিরোপা থাকা উচিত বলে মনে করেন অনেক সাবেক ফুটবলারই। তবে মার্কিনিয়োসের লক্ষ্য, মেসিকে আরও একবার হতাশ করা। তিনি বলেন, 'মেসির রেকর্ড এবং সে যা কিছু অর্জন করেছে, এর পূর্ণতার জন্য মানুষ চায় সে শিরোপাটি জিতুক, এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা তাকে তার লক্ষ্য অর্জনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করব।'
মেসিকে আটকেই আর্জেন্টিনাকে রুখে দিতে চায় ব্রাজিল। তবে এর জন্য সব শক্তি মেসির পেছনে খরচ করবে না তারা। মার্কিনিয়োস বলেন, 'মেসিকে রুখে দেওয়া একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে কঠিন। আমাদের পুরো রক্ষণভাগ প্রয়োজন এবং আমাদের কোচ জানেন কীভাবে তা করতে হবে। তবে আমরা সব মনোযোগ মেসির দিকেই পারি না, তাহলে বাকিরা তখন ব্যবধান গড়ে ফেলতে পারে।'
ফাইনালের আগে কোপায় ব্রাজিলের বিপক্ষের রেকর্ড অবশ্য আর্জেন্টিনাকে আত্মবিশ্বাস যোগাতে পারে। লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে জমজমাট এই আসরে এখন পর্যন্ত ৩৩বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। ১৫টি ম্যাচে জিতেছে লিওনেল মেসির দেশ, ব্রাজিলের জয় ১০টি ম্যাচে। ৮টি ম্যাচ ড্র হয়।