সাকিব ইস্যুতে প্রধান কোচের অপেক্ষায় বিসিবি
আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হতে আর দুই মাস বাকি। দুই মাস বাকি থাকলেও এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করার তাড়া অনুভব করছেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে থাকা দেশসেরা এই অলরাউন্ডার মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছেন। আগামী ৫-৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএসপিতে অনুশীলন করবেন সাকিব।
ঢাকা ফিরে বনানীর বাসায় উঠেছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। করোনা টেস্টের ফল না পাওয়া পর্যন্ত বনানীর বাসাতেই থাকবেন তিনি। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে বিকেএসপিতে যাবেন সাকিব। সেখানেই অনুশীলন চালিয়ে যাবেন তিনি। নিষেধাজ্ঞায় থাকা অবস্থায় বিসিবির কোনো সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন না বলে বিকেএসপিকে বেছে নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
শ্রীলঙ্কা সফরে সাকিবকে দলে চায় বিসিবি। দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই তাকে খেলানোর ইচ্ছা দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টেই সাকিবের খেলার ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চিত করে বলে দিয়েছেন। তবে তাকে দলে নেওয়ার প্রক্রিয়া কেমন হবে, সেটা এখনও চূড়ান্ত করেনি বিসিবি।
কারণ শারীরিক ও মানসিক থেকে সাকিব কোন পর্যায়ে আছেন, সেটা বিবেচনার বিষয়। এ ছাড়া ফিটনেসও গুরুত্বপূর্ণ দিক। দুই মাস অনুশীলনের পর সাকিব কোন পর্যায়ে থাকেন, সেটা দেখার পরই সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি। এ প্রক্রিয়ায় প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ওপর ভরসা রাখছে বিসিবি।
বুধবার এক বৈঠক শেষে সাকিবকে দলে নেওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, 'এটা এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারব না। কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে কীভাবে কী করবে। ওর নিষেধাজ্ঞা অক্টোবর পর্যন্ত আছে, এরপর কী করণীয় আছে সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট দেখবে। প্রধান কোচ না আসা পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না।'
নিষিদ্ধ হওয়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব ছিল সাকিবের কাঁধে। দলে ফেরার প্রক্রিয়ায় থাকলেও আপাতত তাকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে না বিসিবি। যদিও এ বিষয়ে কথা বলতে চান না প্রধান নির্বাচক। এ বিষয়টি নির্বাচক প্যানেলের আলোচনার বিষয়বস্তু নয় জানিয়ে মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'অধিনায়কত্বের বিষয়টা বিসিবির ব্যাপার। এটা আমাদের নির্বাচক প্যানেল থেকে আসে না।'
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হওয়ার পরই সাকিবের ব্যাপারে গাইডলাইন তৈরি করবে বিসিবি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত সাকিবের সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হয়ে আসায় সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান আকরাম খান, যেন এমন কিছু না করা হয়; যা তার বিরুদ্ধে যায়।
আকরাম খান বলেন, 'আমাদের গাইডলাইন হবে ২৯ তারিখের পরে, তার আগে না। আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে এবং আমি আপনাদের অনুরোধ করব যেহেতু এখন পর্যন্ত ওর সবকিছু ভালো আছে, শেষের দিকে যেন কোনো কিছু তার বিরুদ্ধে না যায় আকসুর নিয়মানুসারে। আর আনুষ্ঠানিকভাবে তার সাথে আমরা কাজ করব ২৯ তারিখ থেকে। এর আগে আমাদের কোচ যদি তাকে সাহায্য করতে চায়, সে কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে করতে পারবে।'