নিজেকে এমবাপ্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন না হলান্ড
গত ১৫ বছর ফুটবল বিশ্ব মজে ছিলো মেসি-রোনালদো বিতর্কে। সেই যুদ্ধের প্রায় অবসান ঘটল বলে। দুজনই চলে এসেছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। রোনালদো তো সদ্যই ইউরোপ ছেড়ে যোগ দিলেন সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসেরে। আর মেসি কাতার বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতাটাও ঘুচিয়েছেন।
মেসি-রোনালদোর উত্তরসূরি হিসেবে যে দুজনকে ভাবা হচ্ছে, সেই কিলিয়ান এমবাপ্পে-আর্লিং হলান্ডও কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছেন, বিশ্ব ফুটবলে পরবর্তী ১০-১২ বছর রাজত্ব করতেই এসেছেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই তুলনাটাও চলেই আসে দুজনের মধ্যে।
কিন্তু এই তুলনা নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই আর্লিং হলান্ডের। প্রিমিয়ার লিগে এসেই রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে যাচ্ছেন এই ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। ক্যারিয়ারে এর মধ্যেই করে ফেলেছেন ২০০'র বেশি গোল। কদিন আগেই সিটি সতীর্থ, কেভিন ডি ব্রুইনা বলেছেন, হলান্ডের সামর্থ্য আছে ৮০০ গোল করার।
অপরদিকে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পেলের পর দ্বিতীয় টিনেজার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করেছেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও দেশকে জেতাতে পারেননি। কিন্তু জিতেছেন গোল্ডেন বুট। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে আর মাত্র ৫ টি গোল দরকার ২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পের।
বিশ্ব ফুটবলে ঠিক এমনভাবেই আবির্ভূত হয়েছিলেন মেসি-রোনালদোরা। তাই হলান্ড-এমবাপ্পের কীর্তি দেখে তুলনাটা চলেই আসে। যদিও সেই তুলনা নিয়ে মোটেও আগ্রহী নন হলান্ড, 'মেসি-রোনালদো প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো। বিষয়টা খুব মজার, কারণ তারা খেলেছেও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে (বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ)। কিন্তু আমার এসব বিষয়ে ভাবার সময় নেই।'
এমবাপ্পের সঙ্গে তার কোনো প্রতিযোগিতা নেই বলেও মনে করেন হলান্ড, 'সত্যি বলতে, আমি এটি নিয়ে (এমবাপ্পের সঙ্গে দ্বৈরথ) একদমই ভাবি না। মেসি-রোনালদোর প্রতিযোগিতাটা দুর্দান্ত ছিলো। কিন্তু আমি নিজেকে কারোর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না।'
হলান্ড নিজেকে এমবাপ্পের প্রতিদ্বন্দ্বী না ভাবলেও, ফরাসি ফরোয়ার্ড কিন্তু ইতোমধ্যে নিজেকে হলান্ডের চেয়ে একধাপ উপরে দাবি করেছেন। গত বছর এমবাপ্পে কথা বলেন হলান্ডকে নিয়ে, সেখানে এমবাপ্পে বলেছিলেন, হলান্ডের নিজেকে আরো প্রমাণ করতে হবে। তবেই হলান্ড এমবাপ্পের পর্যায়ে আসতে পারবেন।