শিক্ষাবৃত্তি পেলেন ১৫ খুুদে ক্রিকেটার
স্কুলের আঙিনা পেরিয়ে আরও কয়েকটি ধাপ শেষে দেখা মিলতে পারে জাতীয় দল নামের স্বপ্নের ঠিকানার। সেই স্বপ্নে বিভোর খুদে ক্রিকেটাররা একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকের গতির ক্ষিপ্রতা বাকিদের চেয়ে আলাদা, পারফরম্যান্স করে থাকেন সবার সামনে। তাদের পরিচয় তারা সেরা।
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের এমন সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে কক্ষে ক্রিকেটারদের হাতে বৃত্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও শিক্ষাবৃত্তির ৬০ হাজার টাকা করে তুলে দেন বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন, প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ চৌধুরী ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা। এদিন ২০২৩-২৪ মৌসুমের স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ট্রফিও উন্মোচন করা হয়।
বৃত্তি পাওয়া ক্রিকেটাররা হলেন আজিজুল হাকিম তামিম, মারুফ হোসেন, শাহরিয়ার রাফিন, আলআমিন হোসেন রনি, শাহরিয়ার রহমান, এহসানুল হক মাহিম, আরেফিন নুর সিফাত, হৃদয় হোসেন, সামিউল ইসলাম শুভ, সাদ ইসলাম রাজিন, নাদিম হোসেন, শেখ ইমতিয়াজ শিহাব, রিয়াদুল, মোহাম্মদ ইসলাম খলিফা, তাওয়াফ মাশরাফি।
তাওয়াফ, সামিউল, ইমতিয়াজ ও আজিজুল গত বছরও শিক্ষাবৃত্তি পান। এ ছাড়া স্কুল ক্রিকেটে পারফর্ম করেই ২০২৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ প্রাথমিক দলে জায়গা করে নেন ইমতিয়াজ ও আজিজুল।
সারা দেশের ৩৫২টি স্কুলের প্রায় ৮ হাজার ৮০০ ক্ষুদে ক্রিকেটারের অংশগ্রহণে শুরু হয় স্কুল ক্রিকেট। শনিবার শেষ হয়েছে জেলা পর্যায়ের খেলা। ৬৪ জেলার সেরা স্কুলগুলো নিয়ে এদিনই বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা শুরু হয়। এই ধাপে ১৪টি ভেন্যুতে ৫৭ ম্যাচ শেষে সাত বিভাগের সেরা দল পাওয়া যাবে।
দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসব স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে আছে প্রাইম ব্যাংক। তাদের একক পৃষ্ঠপোষকতায় টুর্নামেন্টটি হয়ে আসছে। আসর আয়োজনের পাশাপাশি গত তিন বছর ধরে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া গত বছর বাছাইকৃত একটি দলকে ভারতে পাঠিয়েছিল তারা।