ওমানকে ৩.১ ওভারে হারিয়ে টিকে রইলো ইংল্যান্ড
জিতলেই হতো না, রান রেটের হিসাব মেলানোর বিষয়ও ছিল ইংল্যান্ডের সামনে। প্রথম ভাগের কাজটা সারলেন জফরা আর্চার, মার্ক উড, আদিল রশিদরা। তাতে যে লক্ষ্য মেলে, তা পাড়ি দেওয়া মামুলিই ছিল ইংলিশদের জন্য। এরপর সামনে আসে নতুন হিসাব, সেটাও সহজেই মিলিয়ে নিলো তারা। ওমানকে গুঁড়িয়ে বিশাল জয়ে সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার রাতে অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে 'বি' গ্রুপের ম্যাচে ওমানকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে জস বাটলারের দল। ওমানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এমন বড় জয়ে নিশ্চয়ই অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে ম্যাচের দৈর্ঘ্যটা অবাক করার মতো। মাত্র ৩.১ ওভারেই জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয় মাত্র ১৬.৩ ওভার।
১০১ বল হাতে রেখে জিতেছে ইংল্যান্ড, যা একটি রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে একশর বেশি বল হাতে রেখে জেতার কীর্তি নেই আর কোনো দলের। ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯০ বল হাতে রেখে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, এতোদিন এটাই ছিল রেকর্ড।
আজকের ম্যাচে টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইংল্যান্ডের, এখানে জয় দিয়ে শুরু হয় তাদের। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ডের দুর্বার বোলিংয়ে সামনে ১৩.২ ওভারে ৪৭ রানে অলআউট হয় ওমান। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। ওমানের কেবল একজন দুই অঙ্কের রান করেন। ম্যাচসেরা আদিল ৪ ওভারে ১১ রানে নেন ৪টি উইকেট। ৩.২ ওভারে এক মেডেসহ ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আর্চার। ৩ ওভারে ১২ রান খরচায় উডের শিকারও ৩ উইকেট।
জিততে ইংল্যান্ডের হাতে ২০ ওভার ছিল। কিন্তু রান রেটে স্কটল্যান্ডকে পেছনে ফেলতে ৫.২ ওভারে জিততে হতো তাদের। ইংল্যান্ডকে অতো দূর যেতে হয়নি, ফিল সল্টের ৩ বলে ১২ ও অধিনায়ক বাটলালের ৮ বলে ২৪ রানে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই জয় নিশ্চিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। উইল জ্যাকস ৭ বলে ৮ ও জনি বেয়ারস্টো ২ বলে ৮ রান করেন।
তিন জয়ে 'বি' গ্রুপের শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। টানা তিন জয়ে সুপার এইটে উঠে গেছে অজিরা। দুই জয় ও পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট মিলিয়ে স্কটল্যান্ডের পাঁচ পয়েন্ট, তারা দুই নম্বরে। তিন পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইংল্যান্ড। আজকের জয়ে রান রেটে স্কটল্যান্ডের ওপরে উঠেছে তারা। শেষ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে জিতে অপেক্ষায় থাকতে হবে ইংলিশদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কটল্যান্ড হারলে তারা পাবে সুপার এইটের টিকেট। কিন্তু স্কটিশরা জিতলে নামিবিয়াকে হারিয়েও বিদায় নিতে হবে ইংল্যান্ডকে।