হ্যাটট্রিকে অনন্য কীর্তি জর্ডানের
১৮তম ওভারের খেলা শেষ, ১৯তম ওভার করতে এলেন ক্রিস জর্ডান। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তখনও চার উইকেট, কিন্তু ইংলিশ এই পেসার ওভার শুরু করে শেষ করতে পারলেন না; এর আগেই শেষ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকদের ইনিংস। এক ওভার এক বল বাকি থাকতে অলআউট যুক্তরাষ্ট্র। পাঁচ বলে চার উইকেট, এর মধ্যে তিনটি টানা। হ্যাঁ, চার উইকেট নেওয়ার এই ওভারে হ্যাটট্রিক করেন জর্ডান।
ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক, সেটাও সেই বার্বাডোজে; যেখানে বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটারের। প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পথে নিজের জন্মস্থানে হ্যাটট্রিকের কীর্তি, বাড়তি উচ্ছ্বাসই বয়ে যাওয়ার কথা জর্ডানের মনে। অন্য একটি কারণে গর্বও হতে পারে তার। জর্ডানের হ্যাটট্রিকেই যে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে যোগ হলো নতুন পাতা। টি-টোয়েন্টিতে তিনিই ইংল্যান্ডের প্রথম বোলার, যিনি হ্যাটট্রিকের স্বাদ নিলেন।
হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেট নেওয়ার ওভারে জর্ডানের শিকার কোরি অ্যান্ডারসন, আলী খান, নসথুশ কেনজিগে ও সৌরভ নেত্রাভালকার। প্রথম বলেই অ্যান্ডারসনকে ফেরান জর্ডান। পরের বলটি ডট করেন আগুনে বোলিং করা এই পেসার। এরপর টানা তিন বলে ফিরিয়ে দেন আলী, কেনজিগে ও নেত্রাভারকারকে। হ্যাটট্রিক আনেন্দে ভাসার ম্যাচে ২.৪ ওভারে ১০ রানে ৪ উইকেট নেন জর্ডান।
এবারের বিশ্বকাপে এটা তৃতীয় হ্যাটট্রিক। বাকি দুটি হ্যাটট্রিক অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করা অজি এই পেসার পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও টানা তিন বলে তিন উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে জর্ডানের হ্যাটট্রিকটি নবম, একমাত্র বোলার হিসেবে দুটি হ্যাটট্রিকের মালিক কামিন্স।
জর্ডানের বিশেষ সাফল্যের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বাকি বোলাররাও দাপট দেখান। বিশেষ করে ম্যাচসেরা আদিল রশিদ ও স্যাম কারানের বিপক্ষে বেশ ভোগে যুক্তরাষ্ট্র, ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে অধিনায়ক জস বাটলারের খুনে ব্যাটিংয়ে ৯.২ ওভারেই ১০ উইকেটে জেতে ইংল্যান্ড, প্রথম দল হিসেবে উঠে যায় সেমি-ফাইনালে।