শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে জার্মানিকে কাঁদিয়ে সেমি-ফাইনালে স্পেন
দুর্দান্ত, অসাধারণ, অনবদ্য- জার্মানি ও স্পেনের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটিকে বর্ণনা করতে শব্দভাণ্ডারে টান পড়বে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে স্বাগতিক জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে গেছে স্পেন। অধরাই রয়ে গেল টনি ক্রুসের ইউরো জেতার স্বপ্ন।
উত্থান-পতনে ভরা ম্যাচে স্পেনের জয়ের নায়ক দানি ওলমো আর মিকেল মেরিনো। মিডফিল্ডার মেরিনো ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের একদম অন্তিম মুহূর্তে করেছেন জয়সূচক গোল, গোলটি করিয়েছেন ওলমো, আর স্পেনের প্রথম গোলটা করেছেনও এই ওলমোই।
ম্যাচের শুরু থেকেই আভাস ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। জার্মানি পক্ষে ছিল তাদের দর্শক আর স্পেনের সঙ্গে ছিল দারুণ ফর্ম। দুদলই বল পায়ে আক্রমণ শানিয়েছে মুহুর্মুহু। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি প্রথমার্ধে। কিছুটা এলেমেলো খেলাও দেখা গেছে। যার কারণে কিছুক্ষণ পরপরই হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছে রেফারিকে।
ম্যাচে গোল খরা কাটে ৫১ মিনিটে। লামিনে ইয়ামালের বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে দারুণ ফিনিশে নয়্যারকে পরাস্ত করেন বদলি নামা ওলমো। গোল খেয়ে জার্মানি আরও আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে। কিন্তু স্পেনের রক্ষণ কিংবা নিজেদের ফিনিশের ভুলে গোল পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা।
অবশেষে ম্যাচের ৮৯ মিনিটে আসে সেই কাঙ্খিত গোল। জসুয়া কিমিখের হেড করে দেওয়া পাসে ফ্লোরিয়ান ভিয়েরজট বল জালে জড়ান। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল করার চেষ্টা ছিল দুই দলেরই। তবে জার্মানির আক্রমণের ধারই বেশি ছিল। কিন্তু পাশার দান উলটে যায় ১১৯ মিনিটে। দানি ওলমোর ক্রস ভেসে আসে বক্সের মাঝে, সেখানে ফাঁকায় দাঁড়ানো মিকেল মেরিনো লাফিয়ে উঠে হেড করে বল পাঠান জালে, তাকিয়ে দেখা ছাড়া নয়্যারের কিছুই করার ছিল না।
অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য জার্মানির একটি পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। বক্সের ভেতর মার্ক কুকুরেয়ার হাতে বল লাগলেও রেফারি খেলা চালিয়ে যান। যা নিয়ে ক্ষোভ জানাতেই পারে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে হার দিয়ে শেষ হলো টনি ক্রুসের ফুটবল ক্যারিয়ার। আগের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী ইউরো খেলে বিদায় নিচ্ছেন এই জার্মান মিডফিল্ডার।