ডাচদের হৃদয় ভেঙে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে ইংল্যান্ড
সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের। কিন্তু ওলি ওয়াটকিন্সের মাথায় ছিল ভিন্ন চিন্তা। নির্ধারিত সময়ের অন্তিম মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের হৃদয় ভেদ করা গোলটি করেছেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। আর এই গোলই এই গোলই ইংল্যান্ডকে নিয়ে গেছে টানা দ্বিতীয় ইউরো ফাইনালে।
২০২১ এর পর আবারও ইউরো ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম টানা দুই বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল থ্রি লায়ন্সরা। অপরদিকে ষষ্ঠবার ইউরো সেমি-ফাইনাল খেলা ডাচরা এই নিয়ে হারল পাঁচবারই।
প্রথম সেমি-ফাইনালের চিত্রনাট্য মেনেই যেন এগোলো দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল। প্রথম সেমিতে স্পেন প্রথমে ফ্রান্সের সঙ্গে পিছিয়ে পড়েই জিতেছে ২-১ গোলে। আজ ইংল্যান্ডও প্রথমে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জিতেছে ২-১ গোলের ব্যবধানেই। পার্থক্য কেবল, ইংল্যান্ডের জয়সূচক গোল এসেছে ম্যাচের একদম শেষ সময়ে।
অবশ্য মাত্র সাত মিনিটেই এগিয়ে গেছিল নেদারল্যান্ডসই। ডেক্লান রাইসের কাছ থেকে ছোঁ মেরে বল কেড়ে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে গোল করেন ডাচ মিডফিল্ডার জাভি সিমন্স। এর কিছুক্ষণ পরই পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। যেটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।
বক্সের মধ্যে কেইন বল গোলের উদ্দেশ্যে শট করেন, যা উড়ে যায় অনেকটাই ওপর দিয়ে। কিন্তু ফলো থ্রুতে ডাচ ডিফেন্ডার দুম্ফ্রিসের পায়ে টক্কর লাগে কেইনের পায়ের। বেশ খানিকটা উঁচুতে হওয়ায় ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
দলকে সমতায় ফেরাতে ভুল করেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেইন। প্রথমার্ধের খেলা এভাবেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই কমে আসে প্রথমার্ধের উত্তাপ। দুই দলই ধৈর্য্য নিয়ে খেলতে থাকে। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ানো প্রায় নিশ্চিত, তখনই ওয়াটকিন্সের সেই গোল। কেইনের বদলে ৮১ মিনিটে মাঠে নামা এই ফরোয়ার্ড আরেক বদলি পালমারের পাস ধরে বেশ দুরহ্য কোণ থেকে মাটি কামড়ানো শটে পরাস্ত করেন ডাচ গোলরক্ষককে।
১৯৬৬ বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ডের এটি বড় টুর্নামেন্টে মাত্র তৃতীয় ফাইনাল। যার দুটিই গত ও এবারের ইউরোতে। নিজেদের প্রথম ইউরো জেতার পথে ইংল্যান্ডের সামনে বাধা স্পেন, যারা নিজেরাও দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সামনে। রবিবারের ফাইনাল তাই মুখরোচকই হতে চলেছে বলা যায়।