যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া কে এই আসিফ মাহমুদ
গণআন্দোলনের মুখে প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান শেখ হাসিনা। তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের একজন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, দায়িত্ব পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের।
তিনি এতোদিনে বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থী-জনতার মুখে মুখে তার ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনে অগ্রণী ভূমিকা রাখাদের মধ্যে ২৬ বছর বয়সী আসিফ অন্যতম। ১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামে জন্ম তার। আসিফের বাবার নাম মো. বিল্লাল হোসেন, মা রোকসানা বেগম।
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়েছেন আসিফ, ছিলেন কলেজ বিএনসিসি ইউনিটের প্লাটুন সার্জেন্ট। এই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন আসিফ, বর্তমানে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের মতো আসিফও ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এরপর ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। সর্বশেষ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
পরবর্তীতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আসিফের নেতৃত্বে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি পদত্যাগ করে। গত বছরের ৩ অক্টোবর গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সূচনার পর তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আসিফ। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাল ব্যাকগ্রাউন্ডে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, 'যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।' এরআগে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েই পরিষ্কার বার্তা জানিয়ে দেন তিনি। আরেকটি পোস্টে লেখেন, 'ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশ গঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।'