দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলবেন সাকিব
কদিন আগে হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাকিব আল হাসানকে। এর পরের দিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। মামলার তদন্তের স্বার্থে সাকিবকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফেরানোর কথা উল্লেখ করা হয় নোটিশে। সেদিনই বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, দ্বিতীয় টেস্টের আগে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর কদিন পর সাকিবের ব্যাপারে বিসিবি তাদের অবস্থান জানালো। মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে সাকিব খেলে যাবেন বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। মঙ্গলবার আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছে বিসিবি, সেখানে এটাই বলা হয়েছে।
কদিন আগে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, সাকিবের খেলতে বাধা নেই। মাঝপথে তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে না। এখনও সেই সিদ্ধান্তেই আছে বিসিবি। ফোনে টিবিএসকে ফারুক বলেন, 'সাকিবের ব্যাপারে আগের সিদ্ধান্তেই আছি আমরা। আজ আমরা আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছি। যতোদিন পর্যন্ত ওটা কোনো শেপ না নেবে বা দোষী সাব্যস্ত হবে, ততোদিন পর্যন্ত সে খেলা চালিয়ে যাবে। নোটিশের জবাবে আমরা এটাই বলেছি।'
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি; বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির সব ফরম্যাটেই আছেন সাকিব। দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি, একই সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। এই সময়ে সাকিবের পাশে থাকার ব্যাপারটিকে দায়িত্ব মনে করছে বিসিবি। তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে জানিয়ে ফারুক বলেন, 'সে যেহেতু বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, তাকে আমরা আইনি সহায়তা দিবো।'
সাকিব এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে আছেন। দলটির বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এক ইনিংসে ব্যাট করে তেমন কিছু করতে না পারলেও বল হাতে অবদান রাখেন তিনি। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে এক উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নেওয়াসহ শিকার করেন ৩ উইকেট।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় দায়ের হয়। আদাবর থানায় ২২ আগস্ট রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সাকিবকে ২৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জন আছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।