১১ বছর পর বাংলাদেশে জেমি সিডন্স
পুরনো ঠিকানায় ফিরছেন জেমি ডিডন্স। ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে দুই বছরের যুক্তি হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক এই কোচের। দায়িত্ব নিতে বুধবার ঢাকা এসে পৌঁছেছেন সিডন্স। বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহাজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ।
জাতীয় দলের পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সিডন্সের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিসিবি। তার কাজের পরিধি নিয়ে দুদিন আগে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, 'আমরা তাকে যখন যেভাবে সুযোগ পাই, ব্যবহার করব। তবে আমরা চাই সে জাতীয় দল নিয়েই বেশি কাজ করুক। তার অভিজ্ঞতা আমরা ব্যবহার করতে পারলে আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য ভালো হবে।'
নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সিডন্সই আগে জানিয়েছিলেন। অজি এই কোচ বলেছিলেন 'ওখানে তরুণ প্রতিভাদের নিয়ে কাজ করব বলে আশা করছি। সেখানকার জাতীয় দল এবং ওদের জুনিয়র ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করব। এই কাজটা আমার খুব পছন্দের, তরুণ ক্রিকেটারদের খেলায় উন্নতি আনতে সাহায্য করা।'
বর্তমানে জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সিডন্স আসায় দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচকে এইচপির দায়িত্ব দেওয়া হবে। জালাল ইউনুস বলেন, 'প্রিন্সকে তখন আমরা হাই পারফরম্যান্স বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে দিব। এ ছাড়া অন্য কোথাও দেওয়া যায় কিনা, সেটা নিয়ে ভাবব। আমাদের তো অনেক কোচ লাগবে।'
বাংলাদেশ দলে দীর্ঘ সময় ধরে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে সিডন্সের। ২০০৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। ডেভ হোয়াটমোর দায়িত্ব ছাড়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কয়েক মাস প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ শন উইলিয়ামস। পরে তাকে সরিয়ে কোচ করা হয় সিডন্সকে।
২০১১ সাল পর্যন্ত প্রধান কোচের পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সিডন্সের অধীনে বাংলাদেশ ১৯ টেস্টের মধ্যে ২টিতে জয় পায়। এ ছাড়া ৮৪ ওয়ানডের ৩১টিতে জেতে বাংলাদেশ। তবে তার অধিনে ৮ টি-টোয়েন্টি খেললেও বাংলাদেশ কোনো ম্যাচে জয় পায়নি।