অনলাইন ডাক্তার: এখনও জনপ্রিয়
কয়েক মাস ধরেই ত্বকের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা হিমু। কিন্তু অফিসের কাজের চাপে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় বের করতে পারছিলেন না কিছুতেই। একে তো ডাক্তারের সিরিয়াল পেতেই ঝক্কি পোহাতে হয়, বারবার কল করে করতে হয় অপেক্ষা, তারপর চেম্বারে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ক্লান্তি তো আছেই। এই চিন্তায় ডাক্তার না দেখানোয় ত্বকের সমস্যা বেড়েই যাচ্ছিল তার। কিছুদিন আগে এক বান্ধবীর পরমর্শে অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তার দেখান তিনি।
অনলাইনে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে হিমু বলেন, 'ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার আগ পর্যন্ত কিছুটা ভাবনায় ছিলাম, ভিডিও কলে আমার সমস্যা ঠিকঠাক বুঝতে পারবেন কি না। কিন্তু কথা বলার পর আমি বেশ সন্তুষ্ট হয়েছি। ডাক্তার মনোযোগ দিয়ে আমার সব সমস্যা শুনেছেন। প্রয়োজনীয় সাজেশনও দিয়েছেন। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার বাইরে আমাকে অতিরিক্ত একটু সময়ও ব্যয় করতে হয়নি।' শহরের ব্যস্ত নাগরিকদের জন্য অনলাইনে চিকিৎসা ব্যবস্থা বেশ সুবিধাজনক বলে মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকেন নুসরাত। স্বামী চাকরির সুবাদে থাকেন অন্য এক বিভাগীয় শহরে। সন্তানসম্ভবা নুসরাতকে চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে জেলা শহরের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন স্বামী। একবার স্বামী বাড়ি না থাকার সময়ে শারীরিক অসুস্থতা বাড়লে বিচলিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন নুসরাত। সেখানে বন্ধুদের পরামর্শ পেয়ে এক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাৎক্ষণিক ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিস্তারিত শুনে ডাক্তার তাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নুসরাতের ভাষ্যে, 'সেদিন যদি অনলাইনে ডাক্তার না দেখাতাম তাহলে হয়তো গর্ভের সন্তানের বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যেত। ডাক্তারের কথা শুনেই আমার শ্বশুর আমাকে জেলা শহরের হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছিলেন। এর দুইদিন পরই আমার মেয়ের জন্ম হয়।'
মূলত করোনা অতিমারীকালীন দেশে প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করে অনলাইন চিকিৎসা ব্যবস্থা। বেশকিছু প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি অনলাইনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের ব্যবস্থা করেছিল ভিডিও কলের মাধ্যমে। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। তবে শহরের ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচানো বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা- উভয়ক্ষেত্রেই কার্যকারিতা প্রমাণ করছে অনলাইন চিকিৎসা সেবা।
বর্তমানে দেশের অনলাইন চিকিৎসা ব্যবস্থার নানা দিক জানতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড কথা বলেছে চিকিৎসা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ও অনলাইনে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের সঙ্গে।
সময়ের পাশাপাশি হচ্ছে অর্থ সাশ্রয়
অনলাইন চিকিৎসায় যেমন অপেক্ষা করার ভোগান্তি নেই, তেমনি এক্ষেত্রে চিকিৎসকের ফি-ও অপেক্ষাকৃত কম। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নানান অফারের মাধ্যমে বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যেও অনেক সময় পাওয়া যায় ডাক্তারের পরামর্শ।
ঢাকার মুগদার বাসিন্দা বদরুন্নাহার সুলতানা তার দুই সন্তানের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রায়ই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় এখন আর সরাসরি ডাক্তারের কাছে যান না তিনি। ঘরে বসে ১০০-১৫০ টাকা ফি দিয়েই ডাক্তার দেখান অনলাইনে ভিডিও কলে। কম টাকায় ডাক্তার দেখানোর সুবিধা পাওয়ায় বেশ উপকৃত হচ্ছেন বলেন তিনি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সবসময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া সম্ভব হয় না। দূর-দূরান্তের হাসপাতালে যাতায়াত করার চিন্তায় অনেকেই চিকিৎসা করাতে গড়িমসি করেন। এক্ষেত্রেও অনলাইন চিকিৎসা সেবা বেশ কার্যকরী সমাধান। ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে সহজেই প্রয়োজন অনুসারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায় যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও সরাসরি রোগী দেখার চেয়ে অনলাইনে রোগী দেখার ফি কিছুটা কম হয়ে থাকে সব ক্ষেত্রেই।
চিকিৎসকদের জন্যও সুবিধাজনক
প্রায় পাঁচ বছর যাবত অনলাইনে রোগী দেখার অভিজ্ঞতা ডা. উম্মে আজাদের। স্কিন এবং হরমোন বিষয়ের অভিজ্ঞ তিনি। অনলাইন কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও নিজের চেম্বার থেকে অনলাইনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন উম্মে আজাদ। তার ভাষ্যে, 'ঢাকার জ্যাম ঠেলে ব্যস্ত শিডিউল সামলে চেম্বারে আসা সব সময় সম্ভব হয় না রোগীদের পক্ষে। তাদের সুবিধার জন্যই আমি অনলাইনে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেছিলাম। আমার জন্যও এখন বেশ সুবিধাজনক এই ব্যবস্থা। কাজের চাপে অন্য কোথাও ব্যস্ত থাকলেও এর মাঝে ঘণ্টাখানেক সময় বের করে অনলাইনে রোগীদের সেবা দিতে পারি।'
অনলাইন মাধ্যমে রোগীদের অভ্যস্ততা, ইন্টারনেট কানেকশনের অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখে এই প্ল্যাটফর্মে রোগী দেখতে তুলনামূলক একটু বেশি সময় বরাদ্দ রাখেন বলে জানান ডা. আজাদ। প্রত্যেক রোগীর জন্য সাধারণত ৩০ মিনিটের মতো সময় মাথায় রাখেন তিনি।
নতুন ডাক্তারদের জন্য অনলাইনে রোগী দেখার ব্যবস্থা বেশ সম্ভাবনাময় জায়গা বলে মনে করেন ডা. আফসানা ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত এই ডাক্তার বলেন, 'বছরখানেক আগে এমবিবিএস ডিগ্রি কমপ্লিট করেছি আমি। আমার ব্যাচের বেশ কয়েকজন ডাক্তার বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। নতুন ডাক্তারদের প্র্যাকটিসের জন্য এটি বেশ ভালো ব্যবস্থা। প্রাথমিক রোগ শনাক্ত বা পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোও প্রতিনিয়ত নতুন ডাক্তারদের নিয়োগ দিচ্ছেন।'
জনপ্রিয় অনলাইন চিকিৎসার প্ল্যাটফর্ম
অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহারকারীর ভিত্তিতে দেশের প্রথম সারির অনলাইন চিকিৎসা সেবার প্ল্যাটফর্ম 'ডকটাইম'। ২০২০ সালে শুরু হওয়া অ্যাপভিত্তিক এই উদ্যোগের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ভিডিও কলে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
১০ মিনিটের ভেতর ডাক্তারের পরামর্শ, ৯৯ টাকায় সাধারণ ডাক্তার সেবা, ১৫০ টাকায় শিশু ও গাইনী বিষয়ক চিকিৎসা ক্যাম্পেইন ইত্যাদি নানা ধরনের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে ডকটাইম। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ওষুধ হোম ডেলিভারি, নানা ডায়গনস্টিক পরীক্ষার সেবাও পাওয়া যায় এখানে। বর্তমানে তাদের প্ল্যাটফর্মে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের সংখ্যা প্রায় ১২৫০ জন।
ডকটাইমের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন বলেন, 'প্রতিদিন ৫৫০-৬০০ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকেন আমাদের প্ল্যাটফর্মে। ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ গ্রামে বসবাসকারী এবং ৫৪ ভাগ নারী ও শিশু।'
আনোয়ার হোসেনের মতে, অনলাইন চিকিৎসা সেবা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মান ধরে রাখার জন্য নিয়মিত কোয়ালিটি কন্ট্রোলে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী। ডাক্তারদের রিভিউ, রোগীর ফিডব্যাক ইত্যাদি দিকে প্রতিনিয়ত নজর রাখে ডকটাইম টিম। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দিকেও খেয়াল রাখতে হয়, যেন সহজেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন সবাই।
অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার আরেক পরিচিত প্রতিষ্ঠান সেবাঘর। করোনাকালীনই যাত্রা শুরু হয়েছিল তাদের। প্রায় এক হাজার জন ডাক্তার রেজিস্টার্ড আছেন এখানে। সেবাঘরের কর্মী হাফসা জানান, করোনার সময় থেকে বর্তমানে অনলাইনে রোগীর সংখ্যা কমে এলেও নিয়মিতই তাদের মাধ্যমে অনলাইনে সেবা নিচ্ছেন দেশের নানান প্রান্তের মানুষজন। অনেক প্রবাসী রোগীও সেবা নিয়ে থাকেন এই অ্যাপের মাধ্যমে।
সেবাঘরে সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ফি হয়ে থাকে ডাক্তারদের। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা নির্দিষ্ট শিডিউল অনুযায়ী সেবা দিলেও তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা উপস্থিত থাকেন ইমার্জেন্সি ডাক্তার।
গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করেছে অনলাইনে চিকিৎসা সেবার আরেক প্রতিষ্ঠান 'জায়ন্যাক্স হেলথ'। জায়ন্যাক্সের হেলথের অ্যাপ থেকে প্যাকেজ কিনে যেকোনো সময় অনলাইনে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা, ওষুধ ডেলিভারি, ল্যাব টেস্টিং ও হাসপাতালে ক্যাশব্যাক সুবিধা পাওয়া যায়। ৭৯ টাকায় প্যাকেজ কিনে এক মাস আনলিমিটেড ডাক্তারের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন যে কেউ।
জায়ন্যাক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দিনে ৭০০-৮০০ রোগীকে অনলাইনে টেলিমেডিসিন সার্ভিস দিচ্ছেন তারা। রোগীদের ৬০ শতাংশ ঢাকার বাইরের। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের সেবা নিয়েছেন। এছাড়াও ভুল চিকিৎসা রোধে ফার্মেসিগুলোতে 'ডক্টর কলিং কার্ড' বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফার্মেসি থেকে কেউ প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কিনতে আসলে তাদেরকে কার্ডটি দেওয়া হয়। কার্ডের মাধ্যেম ৪৯ টাকায় দুইবার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন রোগী। এতে ভুল চিকিৎসা বা অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ৮২ হাজার পেইড কাস্টমার আছে জায়ন্যাক্স হেলথের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অ্যাপ ছাড়াও অনলাইনে চিকিৎসা সেবার জন্য ফেসবুক গ্রুপ, পেজ বা ডাক্তারদের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে অনেকক্ষেত্রেই।
বিকল্প নেই সরাসরি চিকিৎসার
দেশে অনলাইন চিকিৎসা ব্যবস্থার কার্যকারীতা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জানান, বর্তমানে জরুরী টেলিমেডিসিন সেবা স্বাস্থ্য বাতায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনলাইন চিকিৎসা সেবাও চালু আছে। এক্ষেত্রে জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে রোগীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন অনুসারে ভিডিওকলের মাধ্যমে হাসপাতালে থাকা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন রোগীকে।
ডা. ইহতেশামুলের ভাষ্যে, 'আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী এখনো পর্যাপ্ত এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকই নেই, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তো পরের ব্যাপার। এই অবস্থায় অনলাইনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ বেশ ভালো বিষয়। তবে সব রোগের চিকিৎসা অনলাইনে দেওয়া সম্ভব না। ধরুন, একজন রোগীর টিউমার হয়েছে। টিউমারটি হাত দিয়ে ধরে না দেখলে বোঝা যাবে না সেটার কী অবস্থা। তবে সাধারণ রোগসমূহের চিকিৎসার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা বেশ কার্যকরী।'
নেই কোনো সরকারি নীতিমালা
দেশজুড়ে অনলাইন চিকিৎসা সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এখনো পর্যন্ত এ সংক্রান্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর নেই কোনো সরকারি নজরদারী। কতগুলো প্রতিষ্ঠান দেশে অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে তার কোনো সরকারি তালিকাও নেই। যে কারণে অনলাইনে স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ে তদারকি করার উপায় নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের প্রধান ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী বলেন, 'এতদিন অনলাইন বা টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সেবার গাইডলাইন ও স্ট্র্যাটেজি না থাকলেও সম্প্রতি এগুলো তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে এটা মন্ত্রণালয়ে আছে।'
দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ ও তাদের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে আরো অন্তত ১০-১৫ বছর সময় লাগবে বলে মনে করেন ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী। এর আগ পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মানসম্মত অনলাইন চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা জরুরী বলে মনে করেন তিনি।