সংচাং ম্রো: ম্রো সম্প্রদায়ের প্রথম নারী চিকিৎসক
ভেজা বালিমাটিতে আঙুল দিয়ে দাগ টেনে বর্ণ লেখা শিখেছিলেন প্রথম। শুরুটা বাবার হাত ধরেই। ছোট্ট সংচাং বেশ আগ্রহ নিয়ে শিখতেন সেসব। কোনো কোনো সময় গাছের পাতাও হয়ে যেতো এক টুকরো খাতা। এসবের মাঝে হুট করেই স্লেট আর চক পেয়ে যান একদিন। কিন্তু চক শেষ হয়ে গেলে আবার বালিতেই দাগ কেটে সানন্দে চলতো বর্ণ শেখার কাজ।
কৃষক বাবার অভাবের সংসার। তাই আর্থিক টানাপোড়েন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে খাতা কেনার সামর্থ্য ছিল না তার। ইচ্ছে হলেও কিনতে পারতেন না। এমনকি, চক কেনার টাকাও থাকতো না কোনো কোনো সময়ে। তবে এসবে সংচাংয়ের ভ্রুক্ষেপ নেই। শেখার প্রতি, জানার প্রতি তীব্র আগ্রহ তার শৈশব থেকেই। সেই সূত্র ধরে বাবার সাথে ধুলোবালি বা কাদামাটিতে খেলার ছলে আয়ত্তে আনেন অ, আ, ই, ঈ বর্ণমালা।
বলা হয়, বড় হবার জেদ যার মাথায় চেপেছে, তাকে রুখতে পারে, এমন সাধ্যই বা কার! আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ জয়ের লড়াইটা হয় একান্তই তার। সেই যুদ্ধ যত কঠিনই হোক, জয় সেখানে কেবল একটি শব্দ হয়ে দাঁড়ায়। সংচাং ম্রোও এই যোদ্ধাদের দলে। বেড়ে ওঠা বান্দরবান জেলার আলীকদম এর পায়াপাড়া গ্রামে। বাবা-মা এবং পাঁচ ভাইবোন নিয়ে সংচাং এর সুন্দর সংসার।
কথায় নয়, সত্যিকার অর্থে কাজে বড় হওয়া মেয়ে সংচাং। পেশায় ডাক্তার। পাশ করেছেন সম্প্রতি। তবে সাধারণ চোখে তার ডাক্তার হয়ে ওঠা সামান্য ঘটনা মনে হলেও এই প্রাপ্তি সংচাংকে এনে দিয়েছে নতুন পরিচয়। শুধু ডাক্তার বলা তাই কিছুটা বেমানান; বরং, তাকে ম্রো সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ডাক্তার বলাই যুতসই!
সংচাংই প্রথম, যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে শুরু থেকেই এই যাত্রা সুখকর ছিল না কখনোই। বছরের পর বছর কঠিন যে যুদ্ধের ভেতর দিয়ে এই অসাধ্য সাধনের গল্পের শুরু— সংচাং তার শেষ লিখেছেন নিজ হাতেই! তাই জেদি বলাটা বোধহয় ভুল হবে না।
কঠিন যে পথ পাড়ি দিয়ে আজকের ডা. সংচাং, তার পুরোটা জুড়েই ছিলেন তার বাবা কাইংপ্রে ম্রো। পাঁচ সন্তান নিয়ে টানাপোড়েনের সংসার এই জুমচাষীর। তিন বেলা আহার যোগানোই যেখানে রীতিমতো কষ্টসাধ্য বিষয়, সেখানে পাঁচ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার কথা চিন্তা কেবল বিলাসিতাই। তবে পড়াশোনার ব্যাপারে আলাদা করে ঝোঁক ছিল তার। শিখতে চাইতেন নিজেও। জানার বিষয়ে শখ ছিল খুব। তাই পড়াশোনা জানা কাউকে পেলেই বসে পড়তেন; যা কিছু শিখতেন তা শেখাতেন সন্তাদেরও।
এভাবে বাবা কাইংপ্রে ম্রোর হাত ধরেই হয় সংচাং এর প্রাথমিক শিক্ষা। তবে কখনো স্কুলে যাওয়া হবে কিনা জানতেন না তা। এভাবেই কাটছিল দিন। একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সংচাং এর মা। পুরো পরিবারকেই ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয় সেবার। চিকিৎসা বা ওষুধপত্র সংক্রান্ত অজ্ঞতার কারণে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তার বাবা কাইংপ্রেকে। সেদিনই সংচাংয়ের বাবা উপলব্ধি করেন সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর প্রয়োজনীয়তা। তখনই মনস্থির করেন, রোগ-শোক বা তার চিকিৎসা বিষয়ক অজ্ঞতা কাটানোর জন্য হলেও পড়াশোনা করানো দরকার। কাইংপ্রে অবশ্য পাকা কথার মানুষ। এদিক-ওদিক নড়চড় নেই। যা বলেন, তা-ই করেন।
পণ করলেন, যেভাবেই হোক, সন্তানদের পড়াশোনা করাবেন। যে কথা, সে কাজ! যেটুকু আয়, তা নিয়েই সব সন্তানের ভার তুলে নেন কাঁধে। পাঁচ সন্তানকেই ভর্তি করিয়ে দেন স্কুলে। বাড়ির পাশেই চম্পট পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। সংচাং ভর্তি হন সেখানে। কিন্তু এখানেও আসে বিপত্তি। স্কুল ছেড়ে চলে যেতে থাকেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হওয়ায় কোনো শিক্ষকই ক্লাস নিত চাইতেন না সেভাবে। পুরো স্কুলজুড়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩-৪ জন। ফলে অনেক শিক্ষক চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে স্কুলটি।
দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে চলে সংচাং এর পড়াশোনা। কোনোভাবে আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না হলে আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেন তার বাবা। তৃতীয় তে ভর্তি হন সংচাং। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই চলে পড়াশোনা।
বাবা কাইংপ্রের সাধ্যমতো চেষ্টায় বড় তিন ভাইবোন শেষ করেন উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি। এরপর খরচ বহনে কাইংপ্রে অক্ষম হয়ে পড়লে এইটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ছেলে-মেয়েদের। তবে ম্রো সম্প্রদায়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা মানুষের সংখ্যাও কিন্তু হাতে গোনা। সেখানে সংচাংয়ের বড় ভাইবোনেরা ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। ফলে তার বাবারও গর্ব করার জায়গা তৈরি হয়। তবে অন্যরা এতে সন্তুষ্ট থাকলেও কেবল সংচাং এর চিন্তা ছিল একটু আলাদা। এতদূর এসে হার মানার পাত্রী ছিলেন না তিনি। স্বপ্নের পথে পা বাড়ানোর আগে দমে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন না কোনোভাবেই। দুর্দম এই তরুণীর কঠিন সে যাত্রার গল্পই শোনা যাক তবে!
সাধারণত শিক্ষা-দীক্ষায় অন্যান্য আদিবাসীদের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ম্রো সম্প্রদায়। কারো কারো স্বাক্ষরজ্ঞান বা অক্ষরজ্ঞানও নেই। তার উপর নারী শিক্ষায় বৈষম্য তো আছেই। অবশ্য জুম চাষের ওপর কোনোভাবে বেঁচে থাকা এই মানুষগুলোর ভেতরে শিক্ষার গুরুত্ব আশা করাও বোকামি। বাস্তবতাও তাই বলে। তাদের মধ্যে খুব বেশি মানুষ শিক্ষিত, তাও নয়। কিন্তু তাদের মধ্যে শেখার প্রতি আগ্রহ নেই— এমন বলাটা মুশকিল! অর্থকড়িই এখানে বিরাট বাঁধা। সে বাধার সম্মুখীন ছিলেন স্বয়ং সংচাংও। স্বপ্ন বিলাসী এই তরুণীর গল্প তাই অন্য দশজনের চেয়ে শুধু আলাদাই নয়, একেবারে ভিন্ন।
"বড় হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে পারি বাবা আমাদের পড়াশোনা করাচ্ছেন যাতে বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানতে পারি; ডাক্তারি বিষয়াদি বুঝতে পারি। কিন্তু বাবা তখনো জানতেন না, ডাক্তারি পড়তে হলে সাইন্স পড়তে হবে। তিনি শুধু এটাই ভাবতেন পড়াশোনা করলেই ডাক্তার হতে পারবো। এমনকি, বাবা পড়ার খরচ সম্পর্কেও জানতেন না। তার উপর আলীকদমের ওই স্কুলে সবাই অনেক আন্তরিক হলেও সাইন্সের জন্য ভালো কোনো শিক্ষক ছিলেন না। সবকিছু মিলিয়ে তাই কিছুটা দোটানায় পড়ে যাই," বললেন সংচাং।
এসবের মধ্যে স্কুল পরিবর্তন করে ভর্তি হন সাভারের সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে। কঠিন সে সময়টায় সংচাং এর পাশে এসে দাঁড়ান এই স্কুলেরই এক শিক্ষক। তাছাড়া, নাম মাত্র টাকায় প্রাইভেট পড়াতেন সাইন্সের কয়েকজন শিক্ষক।
এরপরেও স্কুলের ফি দেওয়া নিয়ে সংকট তৈরি হলে কলেজের প্রিন্সিপাল নমিতা সিস্টার বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ করে দেন সংচাংকে। প্রিন্সিপালের সহায়তায় এভাবেই চলতে থাকে তার উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনা। অর্থাভাব এতটাই তীব্র ছিল যে, হাত খরচ কী জনিস, সেটাই বুঝতেন না সংচাং। মাঝেমধ্যে খাবার খাওয়ার টাকায়ও দেখা দিতো সংকট।
উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করলেন এভাবেই। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিলেন না ঠিক কী করবেন তিনি। একদিকে পরিবারে আর্থিক দুরাবস্থা, অন্যদিকে তার লালিত স্বপ্ন। জানতেন, সামনে যে পরিমাণ অর্থের দরকার, তা বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয় তার বাবার পক্ষে। সবদিক ভেবেই তাই দিশেহারা হয়ে পড়েন সংচাং।
"ঠিক সে সময়ে বাবার কাছে কী করবো জানতে চাই। বাবা আমাকে বাড়িতে ফিরে আসার কথা বলেন। এসে কোনো একটা চাকরি খোঁজার কথাও বলেন। তখনই বুঝতে পারি বাবা আর পারছেন না। কিন্তু এভাবে মাঝপথে পড়াশোনা ছাড়তে হবে এমন চিন্তাই মাথায় আসেনি কখনো।"
তবে হার মানার পাত্রী ছিলেন না সংচাং। উচ্চমাধ্যমিকের সময়ে টিউশনি করতেন। সেটার কিছু জমানো টাকা ছিল তার কাছে। সে টাকা দিয়ে থাকার বন্দোবস্ত করলেও বিপাকে পড়েন কোচিং করার টাকা নিয়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে তার বড় বোন সুইসং এগিয়ে আসেন। নিজ চিকিৎসার জন্য জমানো টাকা তুলে দেন সংচাংয়ের হাতে। এরপর দিন-রাত এক করে চলতে থাকে তার পড়াশোনা।
শিক্ষাজীবনে বেশিরভাগ সময়ে পাশে পেয়েছেন পুরো পরিবারকে। বড় ভাই, বোন সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা চালিয়ে যেতেন। "আমার বড় বোন উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে ছেড়ে দেন কেবল আমার খরচ বহনের জন্য। চাকরি করে আমাকে খরচ দিতেন বলেই এত দূর আসা হয়েছে," জানালেন সংচাং।
কিন্তু কেন যেন দুর্ভাগ্য তার পিছুই ছাড়ছিল না। এর মাঝেই আক্রান্ত হন চিকুনগুনিয়ায়। ছেদ পড়ে পড়াশোনায়। তবুও সাহস করে মেডিকেলে ভর্তিপরীক্ষা দেওয়ার জেদ করে বসেন। পরীক্ষার ৩ দিন আগে সামনে এসে দাঁড়ায় আরেক বিপদ। চোখের সমস্যা হয় তার বাবার। বাবার অসুস্থতা আরও বেশি অস্থির করে তোলে সংচাংকে।
কঠিন সে সময়ের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "কী একটা সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি বলার বাইরে। নিজেকে খুবই অসহায় মনে হচ্ছিল। মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম।" এই সংকটের মাঝে একা একা ঢাকায় এসে পরীক্ষায় অংশ নেন সংচাং। সমস্ত মানসিক পীড়া সামাল দেন নিজের মত করেই।
সময়টা ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর। প্রকাশিত হয় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। সংচাং জানতে পারেন তার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। সুযোগ পেয়েছেন রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে পড়ার। খুশি হয়ে প্রথম কলটা করেন তার বাবাকেই। খবর শুনে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন তিনি।
"বাবা আমাকে সেসময় বলেন, 'তোমার কিছুই করার দরকার নেই, তুমি শুধু পড়ো। বাকিটা আমি দেখবো'," বললেন সংচাং।
মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য দরকার ছিল ৩০ হাজার টাকার। তার বাবা কাইংপ্রে জমি বিক্রি করে সে টাকার বন্দোবস্ত করেছিলেন। সংচাং ভর্তি হলেন। তবে এবার তার মাথায় চেপে বসলো অন্য এক চিন্তা। মেডিকেলের দামী বইগুলো কিনবেন কীভাবে! সপ্তাহখানেক কাটিয়ে দেন বই ছাড়াই। তারপর একদিন তন্ময় নামের এক সিনিয়র ভাই তার বইগুলো তুলে দেন সংচাংয়ের হাতে। এবার কঙ্কাল কেনার পালা। এরই মাঝে আরেক সিনিয়র তার কেনা কঙ্কালটি দিয়ে যান সংচাংকে।
সংচাং এর ভাষায় এই যেন তার জীবনে ঘটে চলা এক একটি মিরাকেল!
তিনি বলেন, "যদি কেউ আসলেই মন থেকে কিছু চায়, কোনো না কোনোভাবে সেটা ঈশ্বর তাকে দিয়েই দেবেন। আমার কাছে মনে হয়, আমার সাথে প্রতি মুহূর্তে ঈশ্বর ছিলেন। নইলে যেখান থেকে আমি এসেছি, সে জায়গা থেকে ভাবলে এত দূর আসা কখনোই সহজ ছিল না। পদে পদে মানুষের সাহায্য পেয়েই আমার এ পর্যন্ত আসা।"
শুধু পড়াশোনাতেই পারদর্শী ছিলেন তা নয়। কৃষিকাজেও একইভাবে দক্ষ সংচাং। বাবা কাইংপ্রেই শিখিয়েছেন সেসব। "ধরতে গেলে বাবা আমাদের জীবনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় সবদিকই শিখিয়েছেন," বলেন তিনি।
পড়াশোনা শেষে সংচাং বর্তমানে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন ডাক্তার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সৎ এবং দক্ষ ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। সম্প্রদায়ের মানুষের সেবা করার। প্রকৃত অর্থেই দরিদ্র যেসব মানুষ আছেন তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার। একইসাথে, সম্প্রদায়ের পরবর্তী প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বার্তাও দেন তিনি।
সংচাং বলেন "শুধু একটা কথাই বলবো, কখনো হাল ছাড়া যাবে না। জীবনে অনেক বাধা আসবে, অনেক সমস্যা আসবে— সেগুলোর দিকে না তাকিয়ে যার যতটুকু শক্তি আছে, ততটুকু দিয়েই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কেউ সাহায্য করবেন, নাকি করবেন না— সেটি ভাবার বিন্দুমাত্র দরকার নেই।"
সংচাং কাজ করতে চান নিজ সম্প্রদায়ে নারী শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে। শিক্ষার ব্যাপারে তাদের আগ্রহী করে তুলতে। ম্রো জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারী-পুরুষের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে, সেটি দূর করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। যদিও কাজটি কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন পথ পাড়ি দিতে চান সংচাং।
"একটা বিষয় কী জানেন, দূর থেকে অনেক কিছুই উপলব্ধি করা কঠিন। আমাদের সম্পর্কে জানতে হলে যদি আমাদের পরিবেশে যেতে পারতেন বা থাকতেন, তবে দেখতেন, কীসের মধ্য দিয়ে মানুষগুলো বেড়ে ওঠে, বড় হয়। মুখে তো কত কিছুই অনায়াসে বলা যায়, কিন্তু যেসব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা উঠে আসি, তা অনুবাধন করা যায় কেবল সরাসরি পর্যবেক্ষণ করলেই," বললেন সংচাং ম্রো।