একদিনে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু, রেকর্ড আক্রান্ত ১৭৭৩
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এ নিয়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪০৮ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১ হাজার ৭৭৩ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ৫১১ জনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ১৭৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১০ হাজার ২৬২টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ১০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। মোট ৪৭টি ল্যাবে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়।
মৃতদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা, ৮ জন চট্টগ্রাম, ৩ জন সিলেট ও ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তাদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ও ৫ জন নিজ বাসায় মারা গেছেন। আরেকজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
মৃত ২২ জনের বয়স:
- ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী: ২ জন।
- ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী: ১ জন।
- ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী: ২ জন।
- ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী: ১০ জন।
- ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী: ৩ জন।
- ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী: ২ জন।
- ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী: ২ জন।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৫ হাজার ৬০২ জন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে সেরে উঠলেন।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনাচিত্র:
- মোট আক্রান্ত: ২৮ হাজার ৫১১ জন।
- মারা গেছেন : ৪০৮ জন।
- মোট সুস্থ : ৫ হাজার ৬০২ জন।
- মোট নমুনা পরীক্ষা: ২ লক্ষ ১৪ হাজার ১১৪টি।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু করেছে।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৫১ লাখ ৯১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও প্রাণ গেছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪৯৬ জনের।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যেসব দেশে:
- যুক্তরাষ্ট্র: ৯৪ হাজার ৯৪১ জন।
- যুক্তরাজ্য: ৩৫ হাজার ৭০৪ জন।
- ইতালি: ৩২ হাজার ৩৩০ জন।
- ফ্রান্স: ২৮ হাজার ১৩২ জন।
- স্পেন: ২৭ হাজার ৮৮৮ জন।
- ব্রাজিল: ১৮ হাজার ৮৯৪ জন।
- বেলজিয়াম: ৯ হাজার ১৫০ জন।
- জার্মানি: ৮ হাজার ২৭০ জন।
- ইরান: ৭ হাজার ১৮৩ জন।
- মেক্সিকো: ৬ হাজার ৯০ জন।