৭২,৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সকলের কষ্ট লাঘবে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এর সুযোগে কেউ যেন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপব্যবহার না করে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চারটি প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে- সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা, আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ প্রণয়ন, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান।
রোববার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব এবং উত্তোরণে সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং দুই শতাধিক ফেসবুক পেজ থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এই প্রথম অনলাইনভিত্তিক ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে আমি রফতানিমুখী শিল্পকর্মী ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি এবং আজ আমি নতুন করে ৬৭,৭৫০ কোটি টাকার চারটি নতুন আর্থিক উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। মানুষের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী গৃহীত পদক্ষেপগুলো অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এরমধ্যে শিল্প উৎপাদন, কর্মসংস্থান, সেবা খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ও পর্যটনের মতো খাতগুলো বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়।
সবাইকে বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বাংলা নববর্ষে অনুষ্ঠান না করা ও শবেবরাত ঘরে পালনের আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলা নববর্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই- শুভ নববর্ষ।
এর আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা নিয়ে গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।