করোনায় দেশে প্রথম নার্সের মৃত্যু
করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মারা গেলেন ব্রাদার (নার্স) রুহুল আমিন। শুক্রবার রাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের এ নার্সিং কর্মকর্তা। তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সিলেটের ডা. শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান (র্যাব)-৯ এর ১৩ কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় র্যাবের সিলেট ইউনিটের ৯ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়।
এরআগে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অনেকের করোনা শনাক্ত হলেও সিলেটে এই প্রথম র্যাব সদস্যদের করোনা শনাক্ত হলো।
নার্সিং কর্মকর্তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাতে মারা যান তিনি।
বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক জানান, রুহুল আমিন নার্সিং কর্মকর্তা হিসেবে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হন। দায়িত্বরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম ব্রাদার (নার্স) হিসেবে মারা গেলেন তিনি।
এদিকে, র্যাবের ১৩ সদস্যের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৯ এর এএসপি (মিডিয়া) ওবাইনবলেন, শুক্রবার আমাদের ১৬ জন সদস্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। এরমধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
তিনি আরও বলেন, শনাক্ত হওয়া বেশিরভাগেরই কোনো উপসর্গ নেই। বাকিদের হালকা জ্বর-সর্দি রয়েছে।