বায়ুদূষণ: আজকের সূচকে ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে
বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ এর জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা বেজে ২১ মিনিটে ঢাকা স্কোর করেছে ১৯০, যাকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে জরিপ প্রতিবেদনে।
মালয়েশিয়ার কুচিং এবং কুয়ালালামপুর আছে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে।
‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ বা একিউআই একটি নির্দিষ্ট শহরের প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা। সেই শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’ বিশ্বজুড়ে রোজকার বায়ুদূষণের ডাটা সংগ্রহ করে। তাতে ঢাকা আজ যেমন দ্বিতীয় হল, গতকালই ছিল সপ্তম স্থানে। এভাবে সারা বছরের ডাটা সংগ্রহ করে বায়ূদূষণের হারে দেশগুলোর অবস্থানের বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করা হয়।
একিউআই সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোর পাওয়ার মানে হল বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য। অন্যদিকে, ১০১ থেকে ২০০ স্কোর পাওয়ার অর্থ হচ্ছে বাতাসের মান দূষিত।
স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ধারণা করা হয় তা মানুষের হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের জন্য রীতিমতো হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশের বাতাস দূষণের জন্য ৫ টি উপাদানের উপস্থিতি পেয়েছে একিউআই-- পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম ২.৫ ও পিএম ১০), নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং ওজোন।
এই শহরের বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তু কণিকার (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫) পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।
পার্টিকুলেট ম্যাটার বা ক্ষুদ্র বস্তু কণিকার আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রন বা মাইক্রোমিটার। মানুষের চুলের সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যাবে। একটি চুলের ব্যাস গড়ে ৬০ মাইক্রোমিটার হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটি চুলকে চিরে ২৪ ভাগ করলে যে ব্যাস পাওয়া যাবে, ক্ষুদ্র কণিকার আকার তার সমান। অত্যন্ত ক্ষুদ্র হওয়ায় এসব কণিকা খুব সহজেই মানুষের শ্বাসতন্ত্রে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে পুরো শরীরে ছড়িয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি করে।
সাধারণত গ্রীষ্মকালে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। আর বর্ষাকালে যখন ধূলিকণা মাটিতে থিতু হয়ে পড়ে, তখন দূষণ কমে যায়।