বায়ুদূষণ রোধে ছিদ্রযুক্ত ইট ও ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে: পরিবেশ কমিটি
ধাপে ধাপে ছিদ্রযুক্ত ইট ও ব্লক উৎপাদন এবং ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ বায়ুদূষণ রোধের নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৫তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণ কাজের টেন্ডার সিডিউলে বায়ুদূষণ রোধে সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বাধ্যতামূলক করা হবে। ব্লক ইট তৈরিতে শুল্ক হ্রাস অথবা সরকারি প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ব্লক ইটের ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্টের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে। নিয়মিতভাবে পর্যায়ক্রমে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।'
পরিবেশের উন্নয়নে সরকার সম্ভাব্য সকল সিদ্ধান্তই গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করবে এবং যেকোনো মূল্যেই দেশের পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। কঠিন ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিকে পরিবেশবান্ধব ইনসিনারেটর, ইটিপি ইত্যাদি স্থাপন করার নির্দেশনা প্রদান করা হবে। পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে গ্রহণ করা হবে কার্যকরী উদ্যোগ।
পাহাড়, প্রতিবেশ সংরক্ষণে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধকরণ বিষয়ে মন্ত্রী জানান, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে পাহাড় কাটার প্রয়োজন হলে বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে থেকে হিল কাটিং ম্যানেজম্যান্ড প্ল্যান অনুমোদন নিয়ে তদনুসারে কাটতে হবে। পাহাড় কাটার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট প্রত্যাশী সংস্থা কর্তৃক কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী জানান, পুকুর, ডোবা, খাল, বিল নদী ও কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন নিরুৎসাহিত করা হবে। অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে ভরাট করার প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার আওতাধীন প্রাকৃতিক জলাশয়, পুকুরসমূহ বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোনো ভরাট কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। সচিব জিয়াউল হাসান এবং গৃহায়ন ও গণর্পূত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার-সহ কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।