মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পোশাক কারখানা মালিক ও অবৈধ কর্মীরা আটক
গত ২৩ সেপ্টেম্বর, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের অভিযানে বাংলাদেশি এক পোশাক কারখানা মালিককে আটক করা হয়েছে। ৪৬ বছর বয়সী ওই কারখানা মালিক ২০১২ সালে, আইডি হ্যাক সিন্ডিকেট থেকে একটি অস্থায়ী কর্মী ভিসা পাস নিয়ে (পিএলকেস) মালয়েশিয়া যান এবং অবৈধভাবে দু'টি কারখানা গড়ে তোলেন। তার কারখানাগুলোয় আরো ৪৫ জন অবৈধ শ্রমিক কর্মরত।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল জাইমী দাউদ, দেশটির সেলাঙ্গর প্রদেশের আম্পাং শহরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, "একই সঙ্গে স্থানীয় এবং অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের সমন্বয়ে তিনি কোম্পানিটি স্থাপন করেছিলেন, যাতে মুনাফা বেশি হয়। শ্রমিকদের জন্য কারখানা, অফিস, প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং হোস্টেল স্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রাঙ্গণও ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি"।
এক বিবৃতিতে দাউদ বলেন, "৪৫ জন কর্মীর মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে, যাদের বয়স ১৭ থেকে ৫৬ বছরের মধ্যে। প্রত্যেককে মালয়েশিয়ান মুদ্রায় মাসিক ১,৬০০ রিঙ্গিত বেতন দিয়ে, তার নিজের মাসিক মুনাফা দাঁড়াতো ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত"।
বাংলাদেশি কারখানা মালিকের এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য প্রায় ৭ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে মালয়েশিয়ার সরকারকে।
অভিযানকারী দল কোম্পানির সকল দলিলপত্র, নগদ অর্থ এবং কোম্পানির নামে নিবন্ধিত যানবাহনের মালিকানা সনদ, ব্যাংক কার্ড জব্দ করেছে।
এছাড়া, এই কাণ্ডের সাথে জড়িত ৩৭ বছর বয়সী একজন স্থানীয় নারীর নামও উঠে এসেছে। তিনি কোম্পানিটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বৈধ ভিসা ছাড়া বিদেশি কর্মীদের কাজ দেওয়ার অপরাধে দেশটির অভিবাসন আইনের অধীনে বাংলাদেশি কারখানা মালিকসহ স্থানীয় ওই নারীকেও আটক করা হয়েছে।
দু'জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং মানবপাচার সহ অভিবাসীদের চোরাচালান বিরোধী আইনের অধীনে তদন্ত শুরু হয়েছে।
- সূত্র- নিউ স্ট্রেইটস টাইমস