মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি নির্মাণের অভিজ্ঞতা নিতে ১৬ কর্মকর্তার বিদেশ সফরের প্রস্তাব
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/11/25/govt.jpg)
বিশ্বের অন্যান্য দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কী ধরণের প্রকল্প নেয়া হয় এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয় তা দেখতে ১৬ জন কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ সফরের জন্য জন প্রতি খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
অসচ্ছল মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার একতলা বাড়ি নির্মাণের একটি প্রকল্পে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারী, শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী বা সন্তানদের এসব বাড়ি দেয়া হবে। 'বীর নিবাস' নামের এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা।
প্রকল্প প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকল্প প্রস্তাবে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য যে ১৬ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের কথা বলা আছে, তাদের ৮ জন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের, ৪ জন প্রকল্প কার্যালয়ের।
একজন করে কর্মকর্তা আছেন অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি)। প্রস্তাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বাড়ি বানানোর প্রকল্পে এতো কর্মকর্তার বিদেশ সফর এবং তা থেকে কী ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জন করা হবে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সৈয়দ মামুনুল আলম বলেন, 'শুধু একতলা বাড়ি নির্মাণ নয়। অভিজ্ঞতা অর্জনের আরো অনেক বিষয় আছে এখানে।'
এর বাইরে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় শহীদদের স্মৃতিসৌধ, যুদ্ধ যাদুঘর, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের অভিজ্ঞতা নিতে দুই গ্রুপে ৭ জন করে মোট ১৪ কর্মকর্তা বিদেশ সফর করে এসেছেন।
একটি গ্রুপ যায় ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায়, অন্যটি সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে।
এই সফরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ছিলেন। এমনকি ছিলেন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাও। প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্তকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, এ ধরণের কর্মকর্তাদের সফর অভিজ্ঞতা প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো কাজে আসে না। তারপরেও বহু প্রকল্পে এমন সফরের প্রস্তাব রাখা হয়।