রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মানহানি করায় হেলেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়: র্যাব
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মানহানি এবং তাঁদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব।
র্যাব বলছে, সংস্থাটির সাইবার মনিটরিং টিম হেলানাকে বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারিতে রেখে সর্বশেষ গ্রেপ্তার করেন।
আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, হেলেনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মানহানি ও সুনাম নষ্ট করেছেন। এছাড়া তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন। তিনি খ্যাতি লাভের আশায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে বিব্রত করতেন।
তাছাড়া অনৈতিক পন্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে খ্যাতনামা হিসেবে উপস্থাপন করতে চতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে "ফেসবুক লাইভে" এসে অযাচিত ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করতেন। পরবর্তীতে ফোন করেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হেয় করতেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেন।
এলিট ফোর্সটির এই মুখপাত্র বলেন, 'হেলেনা অপকৌশলের নিজেকে 'মাদার তেরেসা', 'পল্লী মাতা', 'প্রবাসী মাতা, হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ চক্রটি হেলেনাকে এসব 'ভূয়া খেতাব' নামে ডাকতেন।
এছাড়া বিভিন্ন দেশি/বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তি 'জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন' নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে খেতাব প্রচার-প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তার প্রায় ১২ ক্লাবের সদস্যপদ রয়েছে, বলেও জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, হেলেনার বাসবভনে পরিচালিত অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুইটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া বা ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামাদি ৪৫৬টি চিপস উদ্ধার করা হয়।