সাক্ষাৎকার ছাড়াই বি১, বি২ ভিসা আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস
বিনা সাক্ষাৎকারে পর্যটন, ব্যবসা এবং চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া ভ্রমণকারীদের ভিসা আবেদন গ্রহণ শুরু করার কথা জানিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। বি১/বি২ ক্যাটাগরির আবেদনে এ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, নন-ইমিগ্রান্ট শ্রেণিভুক্ত; সি, সি১/ডি, এফ, আই, জে, এম, ও এবং কিউ- ক্যাটাগরির ভিসার জন্য ইতোপূর্বে করা আবেদন গ্রহণও শুরু করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাসের কাউন্সুলার প্রধান উইলিয়াম ডোয়ারস আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছেন।
করোনার কারণে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ শেষ হতে অন্তত ৬ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সে অনুযায়ী যথেষ্ট সময় হাতে রেখে ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চলমান কোভিড-১৯ বিশ্বমারির কারণে নন-ইমিগ্রেন্ট ক্যাটাগরিতে ২৪ মাস পর্যন্ত সাক্ষাৎকার ছাড়া ভিসা ইস্যু করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, বলে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
করোনা মহামারির কারণে সাক্ষাৎকার ছাড়াই নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার নবায়ন ও যোগ্যতার মেয়াদ ২৪ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট শ্রেণিভুক্ত নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি ২৪ মাস পার না হয়ে থাকে, তাহলে আবেদনকারী বিনা সাক্ষাৎকারে নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুবিধাটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বিনা সাক্ষাৎকারে বি১/বি২, সি, সি১/ডি, এফ, জে, এম, ও এবং কিউ, শ্রেণির ভিসা নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন কি না তা জানতে https://bd.usembassy.gov/visas/nonimmigrant-visas/ এই সাইটে যেতে বলা হয়েছে।
ভিসা আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও প্রার্থীর ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার আবশ্যিক কিনা – তা নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দূতাবাসের কন্সুলারের দপ্তর। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
ঢাকাস্থ দূতাবাসের নিয়মিত কার্য্যক্রম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত (এমআরভি) ভিসার আবেদন ফি বহাল থাকবে, এবং তার ভিত্তিতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হতে পারে।
দূতাবাসটি অবশ্য; নন-ইমিগ্রেন্ট ক্যাটাগরির আওতায় থাকা এফ১ এবং এফ২ ভিসার নতুন আবেদন গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। এফ১ এর আওতায় শিক্ষার্থী এবং এফ২- এর আওতায় কোনও মার্কিন নাগরিকের স্বামী/ স্ত্রী এবং সন্তানেরা ভিসার আবেদন করতে পারে। তবে জীবন মৃত্যুর মতো জরুরি পরিস্থিতির বিবেচনায় দ্রুত ভিসা অনুমোদনের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।