সোমবার স্থগিত হতে পারে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি ধর্মঘট
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য রোববার থেকে যে ধর্মঘট শুরু হয়েছে আলোচনা সাপেক্ষে তা সোমবার স্থগিত হতে পারে।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির একাংশের মহাসচিব এবং পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রোববার সন্ধ্যায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য জানান।
তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, পেট্রোলপাম্প-সংলগ্ন জমির ইজারা বাতিলসহ ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট শুরু করে পেট্রোল পাম্প ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনের নেতা মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ ফলপ্রসু হলে ঐক্য পরিষদের ২৬ জেলায় ডাকা ধর্মঘট স্থগিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘দাবি অনুয়ায়ী আগামী ৩ ডিসেম্বর জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে এমনই আশ্বাস দিয়েছেন বিপিসি কর্মকর্তারা। এর পাশাপাশি ট্যাংক-লরি চালকদের নিরাপত্তা বিষয়েও আলোচনা হবে। বাকি ১৩ দফা দাবি আদায়ে ১৫ ডিসেম্বর জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংগঠনটির নেতারা বৈঠকে বসবেন। বিপিসির দেয়া এসব প্রস্তাব অনুযায়ী সোমবার আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।’
এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুরের হিলি, লালমনিরহাটের বুড়িমারি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি করা পণ্য পরিবহন নিয়ে সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিপিসি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আন্দোলনকারী নেতারা বলছেন, এ ধর্মঘটের ফলে ওই তিন বিভাগের প্রায় দেড় হাজার পেট্রোল পাম্প থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়ায় সোমবার বিকেল থেকে অনেক যানবাহন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, অকটেনের কমিশন ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে সাড়ে ৭ শতাংশ, পেট্রোল ২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং ডিজেল ২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩ শতাংশ করাসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এই টানা ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করে ঐক্য পরিষদ।