হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পাঁচ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে র্যাব
দলীয় নীতিভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক উপ-কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। পাঁচটি ভিন্ন আইনে মামলাগুলো করা হবে।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়।
এসময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ও টেলিযোগাযোগ আইনে পৃথক পাঁচটি মামলা করা হবে।
এদিকে সময় টিভির এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, হেলেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গুলশান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
খন্দকার আল মঈন জানান, "সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সাহায্যে হেলেনা জাহাঙ্গীর অনেক ব্যক্তিকে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন।"
নিজ এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে ব্যবহার করতেন বলেও জানান খন্দকার আল মঈন। হেলেনা ১২টি অভিজাত ক্লাবের সদস্য ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।
এলিট ফোর্সটির এই মুখপাত্র বলেন, জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন হেলেনা, যার সিংহভাগ অর্থ মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে খেতাব প্রচার-প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো।
র্যাব জানায়, তিনি খ্যাতি লাভের আশায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে পরবর্তীতে তা অপব্যবহার করে নিজ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব। এরপর, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভুয়া সংবাদ ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এছাড়া, জয়যাত্রা টিভির কার্যালয়েও অভিযান চালায় র্যাব এবং তা সিলগালা করে দেওয়া হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীর এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।