জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে আখাউড়া স্থলবন্দরে পণ্য খালাসে জটিলতা
দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ আগস্ট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে স্থলবন্দর থেকে আমদানিকৃত গম খালাসের কার্যক্রমে।
লোকসানের অজুহাতে, শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে পণ্য পরিবহন সীমিত করে দেয় ট্রাক মালিকরা। ফলে সারাদিনে বন্দর থেকে খালাস হয় মাত্র ৪ ট্রাক গম। ট্রাক সংকটের কারণে বন্দরে পড়ে আছে অন্তত ৯০০ টন গম।
গমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের শারদা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি তারাপদ দাস জানান, 'বাজারে গমের সংকটের কারণে চাহিদা বেড়েছে। ফলে দ্রুত গমগুলো খালাস করতে হচ্ছে। কিন্তু জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ায় ট্রাক মালিকরা তাদের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পণ্য পরিবহন সীমিত করেছেন। বাড়তি ভাড়া না দিলে তারা পণ্য পরিবহন না করারও হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে গম খালাস নিয়ে'।
ট্রাক মালিকরা জানিয়েছেন, বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটন পণ্যে ভাড়া ৯০০ টাকা, ঢাকায় ৬৫০ টাকা, কুমিল্লায় ৫৫০ টাকা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ৩১০ টাকা। কিন্তু, এখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে এ ভাড়া দিয়ে পণ্য পরিবহন করলে লোকসান গুনতে হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের পরিবহন সংস্থা- জে. কে. পরিবহনের প্রতিনিধি মো. রাকিব জানান, প্রতি টন পণ্যের বিপরীতে বর্তমান ভাড়ার চেয়ে আরও ৭০-১২০ টাকা না বাড়ালে মালিকপক্ষকে লোকসানে পড়তে হবে। তাই পণ্য পরিবহন সীমিত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাথে ভাড়ার বিষয়ে মালিক পক্ষের আলোচনার পর, পণ্য পরিবহনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম জানান, ট্রাকের ভাড়ার বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের করণীয় কিছু নেই। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন সংস্থা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করবেন। তবে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ হয়তো পরিবহনের ভাড়ার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেবে। তখন বন্দরে পণ্য খালাসে আর কোনো জটিলতা থাকবে না।