গ্যাস সংকট: সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবেন নারায়ণগঞ্জের শিল্পোদ্যোক্তারা
শিল্পখাতে গ্যাস সংকটের সমাধান চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেক্সটাইল ও নিটওয়্যার শিল্প অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জের শিল্পোদ্যোক্তারা। তারা এ সংকট সমাধানের দাবিতে আগামী মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবেন।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর অফিসে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জাানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সভা শেষে বিকেএমইএ'র এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম দ্য বিজনেস সট্যান্ডার্ডকে বলেন, কারখানাগুলোতে ১০ পিএসআই (পাউন্ডস পার স্কয়ার ইঞ্চ) গ্যাসের প্রেসারের অনুমতি থাকলেও তা ০.৫ থেকে ২ পিএসআই থাকে। কখনো কখনো তা জিরোতেও নেমে যায়।
"এ অবস্থায় ডায়িংসহ ক্যাপটিভনির্ভর কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। অথচ আমাদের মাস শেষে শ্রমিকের বেতন ও ব্যাংকের দায় পরিশোধ করতে হবে। অনেক কারখানা মালিক জানিয়েছেন, তাদের পক্ষে এসব অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি," বলেন তিনি।
বিকেএমইএ'র প্রেসিডেন্ট একেএম সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে ওই সভায় নিটওয়্যার কারখানা মালিকদের পাশাপাশি ডাইং খাতের উদ্যোক্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত অপর একজন নিটওয়্যার খাতের উদ্যোক্তা টিবিএসকে বলেন, গত তিন মাসের ধরে গ্যাসের প্রেশার কম। এরমধ্যে শেষ দেড় মাসে তা ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে।
"গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে আমাদের বলা হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে; কিন্তু তা হয়নি," যোগ করেন তিনি।
শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়নগঞ্জ এলাকায় বিকেএমইএ'র সদস্যভুক্ত কারখানাসহ প্রায় সাড়ে ৩০০ ডায়িং ইউনিট রয়েছে, যা পুরোপুরি গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক গ্যাসনির্ভর টেক্সটাইল মিলও রয়েছে এই এলাকায়।