‘বাজেট না থাকায় উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকছে না’
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাজেট না থাকায় উপনির্বাচনে এবার সিসি ক্যামেরা থাকছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
বগুড়া জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার দুই আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার দুটিসহ দেশের পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন হবে।
রাশেদা সুলতানা বলেন, 'পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় পাঁচ আসনের উপনির্বাচনে নিরাপত্তার কাজে সিসি ক্যামেরা থাকছে না। আর সিসি ক্যামেরার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যদি পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সরকার আমাদের বাজেট দেয়, তখন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। কিন্তু এই উপনির্বাচনগুলোয় সিসি ক্যামেরা থাকবে না।'
ইভিএম প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'আমাদের আগে ৮০টি আসন কাভার করার মতো ইভিএম মেশিন ছিল। কিছু ইভিএম নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এখনও ৬০ থেকে ৭০ আসনের নির্বাচন কাভার করার মতো মেশিন আছে।'
এই মতবিনিময়ের পর জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে দুই আসনের প্রার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন ইসি রাশেদা সুলতানা।
বগুড়া-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, 'নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা নিশ্চয়তা দিয়েছি নিয়ম মেনেই ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাবো।'
ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, 'সার্বিকভাবে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর আছে। আশা করছি ভোটগ্রহণও সুষ্ঠু হবে।'