রপ্তানি বাড়াতে কৃষিপণ্যের ট্রেসিবিলিটি নিশ্চিত করা হবে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিদেশের প্রাইম মার্কেটে রপ্তানির বাজার তৈরির লক্ষ্যে পণ্যভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি পর্যন্ত পুরো তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
বুধবার 'কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্পের আওতায়' খামারবাড়ির বিএআরসি অডিটরিয়ামে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকার শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা এবং কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ পরিচালন নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা হয়।
এই নীতিমালায় পণ্যের ট্রেসিবিলিটি বা শনাক্তকরণ নিশ্চিত করতে পণ্যভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরির কথা বলা হয়েছে।
রপ্তানিতে গতি আনতে এবং বিদেশি বায়াররা যাতে সরাসরি পণ্যের ল্যাব টেস্টের ফলাফল দেখতে পারে সেজন্য ল্যাবরেটরিকে ডিজিটালাইজেশন করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য পণ্যের স্যাম্পল গ্রহণ করা থেকে শুরু করে টেস্ট পর্যন্ত সবকিছুই পেপারলেস ও নিরপেক্ষ হতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশি বায়াররা সরাসরি অনলাইনে টেস্ট রিপোর্ট গ্রহণ করবে। এখানে বেসরকারি ল্যাবের ফি অনুযায়ী পণ্য পরীক্ষার ফি নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য একটি সুরক্ষা তহবিল, ল্যাবে উন্নত গবেষণার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি, বিভিন্ন পর্যায়ের ৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়েও বলা হয়েছে।
প্যাকিং হাউজ, অফিস এবং ল্যাব ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়্যার সিস্টেম ডেভেলপ করা হবে। যেখানে রপ্তানিকারকরা সফটওয়্যারের মাধ্যমে কী পণ্য, কোথায় যাবে, কত পণ্য রপ্তানি হবে তা উল্লেখ করে আগে থেকেই টাইম স্লট বু্ক করবেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের রপ্তানি কার্যক্রম ও ল্যাবের গবেষণা কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হবে।
প্যাকিং হাউজের এই ল্যাবে শাকসবজি ও ফলমূলের নিরাপদ ও সেলফ লাইফ বৃদ্ধিতে উন্নত প্যাকেজিং, অটোমেটিক ওয়াশিং, ড্রাইং প্ল্যান্ট, হটওয়াটার ট্রিটমেন্ট সংস্থান, কুল শকের জন্য কোল্ডরুম সচল রাখা সহ ল্যাবরেটরিতে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, 'আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই প্যাকিং হাউজটি এবং এর ল্যাব চালু করা হবে।'
অনুষ্ঠানের কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক ড. শামীম আহমেদ। সেখানে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানের এই ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ২৫-৩০ শতাংশ রপ্তানি বাড়ানো হবে। এথনিক মার্কেট ছাড়াও প্রাইম মার্কেটে রপ্তানি করা এর একটা বড় লক্ষ্য।