এক মাসের ব্যবধানে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭০%
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ৭০.৫৯% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।
এক মাস আগে এ পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছিলো। তার উপর অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে গত ১৯ আগস্ট ভারত পেঁয়াজের ওপর ৪০% রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে।
এরপরই দাম আরও বেশি বৃদ্ধি পায় বাংলাদেশে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবদুল মাজেদ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) টিবিএসকে বলেন, "পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৫৮ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজের দাম ৭০-৭২ টাকা। দেশি রসুন ২০০-২১০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা চীনা রসুন ১৯৫-২১০ টাকা।"
এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত ছাড়াও আরও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন যে দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—চীন, মিশর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
টিসিবি'র তথ্যে আরো দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে আমদানিকৃত রসুনের দাম ৯.৫২% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০-২২০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে প্রতিকেজি আমদানিকৃত রসুনের দাম ছিল ১১০-১৩০ টাকা।
আর দেশি রসুনের দাম এক মাসের ব্যবধানে ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮০-২২০ টাকা কেজি থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ২২০-২৪০ টাকা হয়েছে। এক বছর আগে দেশি রসুনের দাম ছিল ৬০-৮০ টাকা।