বিএনপি-জামায়াতের হরতালে চট্টগ্রামে বন্দর-কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে চট্টগ্রামে আন্তঃজেলা এবং দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বন্দর এবং কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
সকালে কয়েক ঘণ্টা বন্দরে পণ্য ডেলিভারি বন্ধ থাকলেও বেলা ১১টা থেকে তা স্বাভাবিক হয়। চলছে কাস্টমসের কার্যক্রমও।
চট্টগ্রাম কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ারিং অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান স্বপন বলেন, "চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে শুল্কায়নের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীরা স্বাভাবিক সময়ের মতো বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করছেন।"
চট্টগ্রাম কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ারিং অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলো দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারি কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ ছিল। তবে সকাল সাড়ে ১১টার পর ডেলিভারি আবারও শুরু হয়।
"চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে ডেলিভারি নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে শত শত ট্রাক-কভার্ড ভ্যান। দুপুরের পর কন্টেইনার ডেলিভারি পুরোদমে স্বাভাবিক হবে," বলেন তিনি।
বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোতে হরতালের তেমন প্রভাব পড়েনি। কোনো পোশাক কারখানা বন্ধ নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ চলছে।"
এদিকে, নগরীতে গণপরিবহন কম চললেও নিত্যদিনের মতোই সড়কে প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, অ্যাম্বুল্যান্স, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম রয়েছে রাস্তাঘাটে। রোববার সকালে নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, কাজীর দেউড়ি, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ, নতুন ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করছে। সেখানে গাউসিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের এক বাসের হেলপার বলেন, "নতুন ব্রিজ থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করলেও যাত্রীর সংখ্যা কম। যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ চাকরিজীবী।"
পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, "চট্টগ্রাম শহরের পথে কোনো পিকেটার নেই, মোড়ে মোড়ে পুলিশ রয়েছে। তবে যেই ড্রাইভার ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ টাকা চাইলো, সে-ই বড় পিকেটার। কারণ সে যাত্রীদের হয়রানি করছে।"
সিএনজি অটোরিকশা চালক রাশেদুল আলম বলেন, "হরতাল হলেও আমাদের তো বের হতে হবে। গাড়ি চালিয়েই পরিবার চলে। তাই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।"
নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে লক্ষ্য করার মতো। তারা বলছেন, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা সড়কে দায়িত্ব পালনে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, "নিউমার্কেট থেকে হাটহাজারীর গাড়িগুলো চলছে। অভ্যন্তরীণ রুটের গাড়িও চলছে, তবে কম। এছাড়া দূরপাল্লার বাস এখনো চলছে না। কারণ অনেকদিন পর প্রথম হরতালের ডাক, তাই মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।"