অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
যারা অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট অপসারণের আশ্রয় নেয়, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে পরাজিত দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মারা এখন এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মানুষ হত্যা করছে এবং আরও হত্যার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের সবাইকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব জায়গায় ফিশপ্লেট অপসারণ করা হয় সেখানে জনগণ এগিয়ে এলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।'
তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'এসব মানুষ কেবল ধ্বংস করতে জানে, তারা তৈরি বা গড়তে জানে না। তারা মানুষকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।'
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের সময় অপরাধীদের হাতে নাতে ধরার জন্য সবাইকে আহ্বান করেন।
তিনি বলেন, 'তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।'
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত ও মানুষ হত্যায় রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারে। খুনিরা গণতন্ত্র দিতে পারে না — দেশের মানুষকে তা বুঝতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি বলেই আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তিত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের স্বাধীন দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা শান্তিতে থাকবে এবং উন্নত জীবন পাবে। এটা আমাদের লক্ষ্য।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী তারানা হালিম প্রমুখ।
শহীদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও নুজহাত চৌধুরীর সন্তানেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।