প্রবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ১০% পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে: পরিকল্পনামন্ত্রী
নিম্নআয়ের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর সময়, তাদের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান।
তিনি বলেন, "প্রবাসীরা একইসঙ্গে দুটি কাজ করেন; তাদের কষ্টের টাকায় দেশ উপকৃত হয় এবং তাদের নিজের পরিবার উপকৃত হয়। তাই আমাদের উচিত প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া। যারা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবে, তাদের বেশি সুবিধা দেওয়া উচিত, তাদের সন্তানদের স্কুল-কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।"
প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড উল্লেখ করে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীতে প্রবাসী দিবস নিয়ে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বর্তমানে রেমিট্যান্স পাঠানোয় ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা পান প্রবাসীরা। সরকারের দেওয়া ২.৫ শতাংশের সঙ্গে ব্যাংকগুলো নিজেরা আরও ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত যোগ করে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, "প্রবাসী কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা এখন বিশ্বের ষষ্ঠ। শিগগিরই আমরা প্রবাসীদের জন্য ইনস্যুরেন্স চালু করবো।"
"আমরা প্রবাসীদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা চালু করেছি, এবং আমরা প্রাসঙ্গিক আইন হালনাগাদ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। শীঘ্রই প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধা চালু করা হবে এবং আমাদের কনস্যুলার অফিস সবসময় তাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত," যোগ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডক্টর আতিউর রহমান বলেন, "বিদেশে কম কর্মী পাঠালেও ফিলিপাইনের কর্মীরা দক্ষ হওয়ায় রেমিট্যান্স বেশি আসে। আমাদেরও উচিত শ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে পাঠানো।"
২০১৭ সাল থেকে ৩০ ডিসেম্বর দেশে ও বিদেশে এনআরবি ডে' উদ্যাপন করে আসছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন। দুই দিনব্যাপী প্রবাসী দিবসের প্রথম দিন পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি এবং সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম।
এদিন দেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য জাপানের তাকুশোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল জাপানিজ স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক পেমা গিয়ালপোকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এছাড়া, প্রবাসে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন, এমন ছয়জন প্রবাসীর সন্তানদের হাতে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।