চট্টগ্রাম বন্দরে ফেরত আনা হচ্ছে জাহাজ, শুরু হচ্ছে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব কমে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ (সোমবার) জোয়ারের সময় গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো ১৯টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ফেরত আনা হবে। এছাড়া পণ্য খালাস বন্ধ করে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো ৪৯টি খোলা পণ্যবাহী জাহাজকেও বহিনোঙ্গরে ফেরত আনা হচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্টের তথ্যমতে, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ওয়েদার সিগন্যাল ৩-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে বন্দর নিজস্ব সতর্কতা অ্যালার্ট ৪ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাইলটরা জাহাজ ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। শীঘ্রই আগত জাহাজে উঠবেন। আজকের জোয়ারে বার্থ করা হবে জাহাজ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেটিতে জাহাজ ফেরানোর পর শুরু হবে জাহাজে পণ্য উঠানামা। বন্দর জেটি থেকে শুরু হবে কন্টেইনার ডেলিভারি কার্যক্রম।
বন্দরের তথ্যমতে, গত শনিবার বন্দরে বহিনোংগর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে গভীর সাগরে পাঠানো হয়। এছাড়া জেটিতে অবস্থানকারী জাহাজগুলো গতকাল সকালে জোয়ারের সময় গভীর সাগরে পাঠানো হয়েছিল।
১৯৯২ সালের ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের উপর নির্ভর করে চারটি সতর্কতা জারি করে।
এক্ষেত্রে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রাথমিক সতর্কতা ১ জারি করে। আবহাওয়া অফিস থেকে ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর সতর্কতা ২ জারি করা হয়। উপরন্তু বিপদ সংকেত ৫, ৬, ও ৭ এর জন্য সতর্কতা ৩ জারি করা হয়।
যখন চরম বিপদ সংকেত ৮, ৯, ও ১০ থাকে তখন বন্দর সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত ৪ জারি করে। তখন পোর্টের সমস্ত অপারেশন স্থগিত করা হয়।