দুদকে এলেন না বেনজীরের স্ত্রী-সন্তানও
দ্বিতীয় দফা সময় পাওয়ার পরও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মির্জা ও তাদের দুই মেয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় তাদের সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা আসেননি। এর আগে বেনজীর আহমেদও গতকাল (২৩ জুন) দুদকে হাজির হননি।
বেনজীর হাজির না হওয়ার পর দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেছিলেন, কমিশন এখন সাবেক পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
গতকাল তিনি আরও বলেন, সোমবার (২৪ জুন) বেনজীরের স্ত্রী ও কন্যাদের দুদকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা উপস্থিত না হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল টিবিএসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ হচ্ছে সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা। দুদক সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তি অর্জনের বিষয়ে তদন্ত সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলেছে।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের পর্যন্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্বও পালন করেন।
দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ প্রথম বেনজিরের সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
'বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ' শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে পত্রিকাটি বেনজীরের 'অর্জিত' কিছু সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এরপর তদন্ত শেষে এ বিষয়ে ঢাকার একটি আদালতে আবেদন করে দুদক।
তারপর ২৩ মে আদালতের বেনজীরের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে ৪টি ফ্লাট জব্দের আদেশ দেন।